নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ধ্বংস করার অভিযোগে সরব হয়ে ধরনায় শামিল হল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার থেকে দু’দিন কলকাতায় ধরনায় বসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অন্যদিকে দিল্লিতে গণতন্ত্র রক্ষা সহ চার দাবিতে কালো ব্যাজ পরে ধরনা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC-Dharna) সংসদীয় দল।
আরও পড়ুন- ফিরল সাংসদ পদ
বুধবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবন চত্বরে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের (TMC-Dharna) ধরনা চলে। গণতন্ত্র বাঁচাও, সংসদ বাঁচাও, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বাঁচাও এবং সংবিধান বাঁচাও— এই চার দাবিকে সামনে রেখে প্রতিবাদে শামিল হন দুই কক্ষের দলীয় সদস্যরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের ওপর কুৎসিত আক্রমণ বলে মনে করছে বিরোধীরা। তাদের সঙ্গে সহমত তৃণমূলও। আর সেই কারণেই গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত। এদিনের ধরনায় নেতৃত্ব দেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। ধরনায় যোগ দেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, মহুয়া মৈত্র, মালা রায়, জহর সরকার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তা ছেত্রী, সুস্মিতা দেব, প্রতিমা মণ্ডল, অপরূপা পোদ্দার, মৌসম বেনজির নুর, অসিত মাল, খলিলুর রহমান, সুনীল মণ্ডল, নাদিমুল হক সহ লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। এদিন তৃণমূল সাংসদদের হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ছিল ‘সেভ ডেমোক্রেসি, সেভ কনস্টিটিউশন, সেভ পার্লামেন্ট, সেভ ফেডেরালিজম’। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র, সংবিধান, সংসদ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। পাশাপাশি আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জবাব চাই, এই দাবিও তোলা হয়। লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতোই আমরা এই ধরনা-বিক্ষোভে বসেছি। যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে, এর প্রতিবাদে এই আন্দোলন। সংসদীয় গণতন্ত্রকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে এসে এর উত্তর দিতে হবে। এলআইসি, এসবিআইতে সাধারণ মানুষের টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। অথচ ভারতের সংসদে আদানির নাম নেওয়া যাবে না, এটা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। সারা দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা বিপন্ন। আমরা সারা দেশের মানুষকে বলতে চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমেছেন, এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংসদে এবং সংসদের বাইরে বিরোধী শক্তিকে সবরকম ভাবে কাজে লাগানো হবে। এদিকে একই ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সংসদরা। কংগ্রেস সাংসদরাও এদিন কালো পোশাকেই এসেছিলেন। অন্যদিকে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা বলেছে কংগ্রেস।