ঘৃণাভাষণ বন্ধ করতে রাজনীতি ও ধর্মকে আলাদা করা দরকার

Must read

প্রতিবেদন : দেশে রাজনৈতিক বক্তব্যের অবনমন এবং রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে ঘৃণাভাষণের (Hate Speech- Supreme Court) প্রবণতা বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে জওহরলাল নেহরু এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বর্তমান পরিস্থিতির অবনমনের কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, রাজনীতির থেকে ধর্মকে আলাদা করতে না পারলে দেশে ঘৃণাভাষণের প্রবণতা রোধ করা যাবে না। ঘৃণাভাষণ বন্ধ না হলে দেশে সাম্প্রদায়িক ঐক্য বজায় থাকবে না। দেশে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হবে।

আরও পড়ুন-ভারতের গণতন্ত্র বাঁচাতে হবে, ধরনায় সরব তৃণমূল

সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি বি ভি নাগারত্নার বেঞ্চ বলেছে, দেশ এখন সমস্ত শিবির থেকেই ঘৃণামূলক বক্তৃতা (Hate Speech- Supreme Court) প্রত্যক্ষ করছে। রাজনীতি এবং ধর্মকে আলাদা করতে পারলেই ঘৃণামূলক বক্তৃতার অবসান হবে। রাজনীতিবিদরা যখন ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করবেন, তখন এই সব বন্ধ হবে।
বিচারপতি নাগারত্না বলেন, আমরা কোথায় যাচ্ছি? দেশে একসময় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো বক্তা ছিলেন। আর এখন চারদিক থেকে বিচ্ছিন্ন শক্তি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে চলেছে। বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণামূলক মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন বিচারপতি জোসেফ। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি এমন কথা বলা হচ্ছে যেটা তাঁদের সম্মান হানিকর। নিয়মিতভাবে পাকিস্তানে যাও বলে তাঁদের মানসিক শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে। অথচ তাঁরা এই দেশকেই নিজেদের দেশ বলে বেছে নিয়েছেন। তাঁরা আমাদের ভাই-বোনের মতো।

Latest article