প্রতিবেদন : গ্রামের ভোটে পাশে মহানগরী। এই স্লোগান সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিয়ালদহ স্টেশন-চত্বরে অভিনব প্রচার সভা তৃণমূল কংগ্রেসের। আর প্রথম দিনই সভায় ব্যাপক সাড়া, উপচে পড়ল ভিড়। রেলপথ ধরে জীবিকার টানে প্রতিদিন এ শহরে আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেই নিত্যযাত্রীদের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করলেন দলীয় নেতৃত্ব। আর প্রথম দিনেই মিলল ব্যাপক সাড়া। আসা-যাওয়ার ব্যস্ততার ফাঁকে নিত্যযাত্রীরা বাড়িয়ে দিলেন সমর্থনের হাত। কেউবা এগিয়ে এসে নিলেন সেলফি, জানিয়ে গেলেন পাশে থাকার বার্তা।
আরও পড়ুন-জেটি নিয়ে বেপাত্তা, নাজেহাল যাত্রীরা
স্কুল-ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন মায়েরাও। সভার পর মঞ্চ থেকে নেমে জনতার ভিড়ে মিশে গেলেন নেতারা। তুলে দেওয়া হল দলের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’ ও একটি প্রচারপত্র। সকালের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, মুখপাত্র ঋজু দত্ত, অলোক দাস, শক্তিপ্রতাপ সিং-সহ অন্যান্যরা। সকালের পর একই জায়গায় সন্ধ্যায় ছিল আরও একটি সভা। সেই সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক মদন মিত্র ও বিধাননগর পুরসভায় মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এছাড়া এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ সহ অন্যরা। দুটি সভাতেই উপস্থিত ছিলেন সভার আয়োজক ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী ও ৩৬ নম্বরে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীন সিং।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীতে মহিলা গবেষক নিগ্রহ পদক্ষেপ মঞ্জুরি কমিশনের
সভায় বক্তারা বলেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ভোট দিন। চারদিকে নানা বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রান্তিক এলাকায় উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আপনাদের অধিকার। সেই অধিকার পেতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন। কেন্দ্রীয় সরকারের মূল্যবৃদ্ধি ও বিভাজনের রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিন। এভাবে শিয়ালদহে আরও ২ দিন চলবে প্রচার। এর পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনেও হবে শুরু হবে প্রচার সভা। হাওড়ায় সভা আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানিয়েছেন, আগামী সোমবার সকালে হাওড়ায় হবে প্রথম সভা।