সংবাদদাতা, কাঁথি : গদ্দারমুক্ত দিবস উপলক্ষে রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur-TMC) উপচে পড়া রেকর্ড সমাবেশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে মানুষের স্রোত আছড়ে পড়ল পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর সংলগ্ন মাঠে। এদিনের সভার উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করে দিল আজ থেকে ঠিক দু’বছর আগে ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে যিনি বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে মানুষ নেই। পেটুয়াঘাট সংলগ্ন মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের (Purba Medinipur-TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ২০১৬ সালে এই বিজেপিই টিভিতে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ছবি দেখিয়ে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছিল। সেই সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে গদ্দার শুভেন্দু অমিত শাহদের জুতো পালিশ করতে বিজেপিতে গিয়েছে। শুভেন্দু শুধু গদ্দার নয়, চরম অমানবিক, কাপুরুষ। ক’দিন আগে আসানসোলে শুভেন্দুদের সভায় তিনজন অসহায় মানুষের মৃত্যু হল। অনেকে আহত হলেন। অথচ আজ পর্যন্ত শুভেন্দু একবারও আসানসোল যাওয়ার সময় পেল না। ও এতটাই নির্লজ্জ, বেহায়া যে ওখানে গিয়ে ওই পরিবারগুলোর পাশে যখন দাঁড়ানো উচিত তা না করে এখানে পাগলের মতো চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। ওখানে ঘটনার পর তাঁদের উদ্ধার করা, পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো, হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে যাওয়া এসব তো তৃণমূলের লোকেরাই করছে। আর শুভেন্দুরা এখানে বসে অমিত শাহের জুতো পালিশ করছে। পার্টির মিটিং করছে। এরা মানুষ? আসানসোল থেকে ফেরার পথে ও যখন দুর্ঘটনার কথা শুনল তখন ওর উচিত ছিল ওখানে ফিরে যাওয়া। সে তো গেলই না, তারপরও এতদিন কেটে যাওয়ার পর যাওয়ার সময় পেল না। একই দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এ নিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করে কুণাল বলেন, ও এত বড় নেতা যে এখন শুধু দিল্লি গিয়ে বড় বড় নেতাদের ধরে ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে আসছে। সবাইকে বলছে এখানে আসুন, আমার জেলায় আসুন, আমাকে বাঁচান। এতবড় নেতা! এদিনের সভায় উপস্থিত আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের উদ্যোগে মৎস্যজীবীদের আই কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সারা বাংলা তৃণমূল মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্মেলন আগামী দিনে এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে এদিন তিনি সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পগুলির কথাও তুলে ধরেন। এ ছাড়াও এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি, জ্যোতির্ময় কর, তরুণ জানা-সহ জেলার নেতৃবৃন্দ।