প্রতিবেদন : ‘বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে’। যুগ যুগ ধরে দোলপূর্ণিমাকে তার রং মিলান্তিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা বা বর্ণনা করা হয়েছে। অতীতের আটপৌরে দোল থেকে আজকের হাইটেক শুভেচ্ছার দোলে মাধ্যম পাল্টে গেলেও রাজনীতিকদের দোলকে সামনে রেখে আবহমানকাল ধরে বসন্ত বাতাসে শুভেচ্ছাবার্তা অবিরাম চলছেই। মঙ্গলবার সাতসকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যবাসীকে দোলের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-বিধায়করা এদিন দিনভর নিজেদের মতো করে মেতেছিলেন দোল উৎসবে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সব জায়গাতে এক চিত্র। দোল উৎসবকে সামনে রেখে চলল জনসংযোগ।
আরও পড়ুন-রক্তের কালোবাজারি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের
রাজ্য জুড়ে সবক’টি বিধানসভাতেই সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে দোল উৎসব। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা নিজস্ব বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক দোল উৎসবে যোগ দিয়েছেন। এর বাইরে পুরসভা ও কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানরাও নিজেদের এলাকায় দোল উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দীর্ঘদিন ধরেই চেতলায় রঙের উৎসবে মাতেন। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সকাল থেকে নিজের পাড়ায় দোল খেলার পর প্রথমে যান লেক রোডের সমাজসেবী সংঘে। চলে জোরদার রং খেলা। এরপর নিজের বিধানসভার একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন-৬ বিঘা জমির গাছ পোড়াল দুষ্কৃতীরা
শিলিগুড়িতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই একাধিক দোল উৎসব প্রাঙ্গণে যান শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের মেয়র গৌতম দেব। কোচবিহারে ঠাকুর মদনমোহন মন্দিরে দোল উৎসবে শামিল হন জেলার নেতা-নেত্রীরা। উৎসবে মাতেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। দক্ষিণের একাধিক জেলা ও জঙ্গলমহলেও সাড়ম্বরে পালিত হয় দোল উৎসব। কলকাতা ও তার সংলগ্ন হাওড়া-হুগলি-উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে দোল উৎসব। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-বিধায়করা দিনটিকে জনসংযোগের হাতিয়ার হিসেবে মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থেকেছেন। তবে প্রশাসনের শীর্ষস্তরের নির্দেশ অনুযায়ী এদিন গোটা রাজ্য জুড়ে কড়া নজর রেখেছিল পুলিশ-প্রশাসন। দিনভর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার টহল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতার জমি থেকে বাজেয়াপ্ত সিরাপ
কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল প্রভাতফেরির আয়োজন। তাতে শামিল হয়েছিলেন কচিকাঁচা ও তাদের অভিভাবকরা। হাওড়া ও শিয়ালদহে গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এর বাইরে বেপরোয়া বাইক-সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরদারির জন্য এদিন সকাল থেকেই রাজপথে ও অলিগলিতে ছিল বাড়তি নজরদারি।