বেনজির সৌজন্য তৃণমূল বিধায়কের

অনুরোধ রেখে সিপিএম পার্টি অফিসে তুললেন জাতীয় পতাকা

Must read

প্রতিবেদন :‌ সৌজন্যের রাজনীতি। শুধু কথার কথা নয়, করে দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (TMC MLA Narendranath Chakraborty)। আর কলকাতার বাম নেতাদের কানে ধরে শিক্ষা দিয়ে দিলেন শিল্পাঞ্চলের বামকর্মীরা। সোমবার। সকালে নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন নরেন্দ্রনাথ। এমন সময় পাশের সিপিএমের কিসান ভবন থেকে ডাক, ‘‘ও নরেনদা, এসো না, ফ্ল্যাগ তুলে যাও।’‌’‌ প্রত্যেকটা মুখ তৃণমূল বিধায়কের চেনা। তাই এতটুকু দ্বিধা না করে বললেন, ‘‘চলো’‌’‌। পতাকা উঠল। জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম স্লোগান উঠল। চা–পান হল। সৌজন্য বিনিময় করে পরবর্তী কর্মসূচিতে বেরিয়ে গেলেন নরেন। বদলা নয়, বদল চাইয়ের আস্ত স্লোগান হয়ে ওঠা নরেন কী বলছেন? ‘‘দেশের স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনে কোনও রাজনীতি হয় না। স্থানীয় বিধায়ককে ওরা অনুরোধ করেছে, আমি অনুরোধ রেখেছি।’‌‌‌’‌‌‌ এরপর নরেনের (TMC MLA Narendranath Chakraborty) যোগ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাইটার্সে গেলে জ্যোতি বসুর পুলিশ তাঁকে চুলের মুঠি ধরে বের করে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমান বসুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলকে নবান্নে ডেকে ফিশ ফ্রাই খাইয়েছিলেন। এটাই সৌজন্যের রাজনীতি, ভাবনায় পার্থক্য।’’ ‌আর স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব কী বলছেন? প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএম নেতা কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘বিধায়ক আমাদের ঘরের মানুষ। এ বিষয়ে কোনও রাজনীতি হয় না। রাজনৈতিক রং দেওয়াও বৃথা চেষ্টা। আমাদের রাজনৈতিক পার্থক্য থাকলেও স্বাধীনতা দিবসের দিনে আমরা সকলে এক ও অভিন্ন।’’‌

আরও পড়ুন: বিজেপি রাজ্যে কোর্টের মধ্যেই গলা কেটে খুন!

Latest article