সংবাদদাতা, দেগঙ্গা : হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্কের সব নথি আমাদের কাছেও আছে। আমরা তার হিসেব চাই। মানুষ তার জবাব চায়। দেগঙ্গার জনসভা থেকে তীব্র ভাষায় গদ্দার অধিকারীর বিরুদ্ধে জোরালো আক্রমণ শানালেন সাংসদ ও বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভানেত্রী ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। শনিবার দুপুরে দেগঙ্গার কার্তিকপুর মাঠে দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের ডাকে এই জনসভা হয়। সেখানে কাকলি ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী অসীমা পাত্র, আনিসুর রহমান প্রমুখ নেতারা। জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েকদিন আগেই এই মাঠে দাঁড়িয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করেন দলবদলু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতেই কুৎসার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন সাংসদ। তিনি বলেন, পৌষ মাসকে হিন্দুরা মল মাস বা অশুভ মাস হিসেবেই দেখি। সেই পৌষ মাসেই অসম্পূর্ণ অবস্থাতে রামমন্দিরের দ্বারোদঘাটন করছে বিজেপি। দেশের চার শংকরাচার্য ওই মন্দিরে রামলালার মূর্তিস্থাপনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। এই পরিস্থিতিতে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করে দেশের অমঙ্গল ডেকে আনছে বিজেপি। শুধুমাত্র লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজনীতি করাই ওদের এমন অধর্মের উদ্দেশ্য। মন্দির-মসজিদের বিভাজন করে ওরা দেশে অস্থিরতা তৈরি করছে। উত্তরপ্রদেশের হাথরস থেকে মণিপুরে মহিলাদের নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি সিঙ্গুরের তাপসী মালিক এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনিতা দেওয়ানের ধর্ষণকাণ্ডে সিপিএমকেও নিশানা করেন তিনি। মা দুর্গার মতো রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার জন্য আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও সভায় উপস্থিত মহিলাদের আশ্বস্ত করেন সাংসদ (Kakoli Ghosh Dastidar)। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক উন্নয়ন করে মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন। মায়েরা, বাংলার মানুষ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বলেই তাঁরাও সুরক্ষিত আছেন। অসীমা পাত্র গদ্দারকে লোডশেডিং এমএলএ বলে সমালোচনা করে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন। বলেন, ভোটগণনার সময় ৩ ঘণ্টা লোডশেডিং করে উনি এমএলএ। বছর বছর প্রতিশ্রুতি আর ধাপ্পাবাজি দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। গদ্দার বেইমানরাই এখন বড় হিন্দু সাজছে। এরা হিন্দুর নামে কলঙ্ক। ক্যামেরার সামনে খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নিতে তাকে দেখা গেলেও গদ্দারকে ছেড়ে বেছে বেছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি ইডি-সিবিআই ঘুরছে। বিজেপি করলে সব দুর্নীতি, অপকর্ম ধুয়েমুছে সাফ। রাম সত্য, ন্যায়ের পূজারি। তাই রামই বিজেপিকে ২০২৪-এ শূন্য করে দেবেন। দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, মহিলাদের সম্মান, বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য দেশে দ্বিতীয়বারের জন্য স্বাধীনতা দরকার। এই স্বাধীনতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই আসবে।
আরও পড়ুন- যুবদের হতাশ করেছে বিজেপি, তোপ তৃণমূলের