‘প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়’ টুইট বার্তায় প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের

ভোটের আগের রাতেও রাজনৈতিক হিংসার বলি হলেন কোচবিহারে তৃণমূলের বুথ চেয়ারম্যান। শুক্রবার রাতে গণেশ সরকারের (৫০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়

Must read

হিংসার আবহে আজ রাজ্যজুড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট (West Bengal Panchayat Elections 2023)। ভোটের আগের রাতেও রাজনৈতিক হিংসার বলি হলেন কোচবিহারে তৃণমূলের বুথ চেয়ারম্যান। শুক্রবার রাতে গণেশ সরকারের (৫০) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের রামপুরের ৯/৬৪ নম্বর বুথের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় টোটো ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এদিন রাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “বিজেপির দুষ্কৃতী দ্বারা গণেশ সরকার খুন হয়েছেন। আহত বিমল দাস।”

আরও পড়ুন-বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মীর প্রাণ গেল, রেজিনগরে ভীত ভোটাররা

রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল বুথ সভাপতিকে কামাখ্যাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে বিস্ফোরণে প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার অন্তর্গত নাজিরপুর এলাকায়। বোমা ফেটে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে ইতিমধ্যেই বোমা দিয়ে খুন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-ব্রিজভূষণকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ

এই অবস্থায় টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। টুইট বার্তায় লেখা হয় ‘নদীয়াতে, সিপিএমের দুষ্কৃতীরা নির্লজ্জভাবে নারায়ণপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন এআইটিসি প্রার্থীর স্বামীর উপর গুলি চালিয়ে দলের আসল রং প্রকাশ করেছে। নির্বাচন শুরু হওয়ার ঠিক আগে হাসিনা সুলতানার স্বামী ও অন্যান্য এআইটিসি কর্মীদের ওপরও অপরিশোধিত বোমা নিক্ষেপ করা হয়। নির্বাচনের আগে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তাদের দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত অপ্রতুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। কেন সাধারণ মানুষ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে এবং যাদেরকে তাদের রক্ষা করার কথা ছিল তাদের এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আশাহত করছে।’

 

এছাড়াও এদিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইট করে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। টুইট করে লেখা হয়, ‘মর্মান্তিক ঘটনা ভোটার সম্প্রদায়ের মধ্যে শকওয়েভ দিচ্ছে। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ ও খড়গ্রামে আমাদের দলের তিন কর্মীকে খুন করা হয়েছে এবং ডোমকোলে গুলির আঘাতে দুজন আহত হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য দাবি করা হয়েছিল বিরোধীদের তরফে। তাহলে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকে যখন তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়? এটি ভোট শুরু হওয়ার আগেই জনগণের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়!’

 

Latest article