প্রতিবেদন :
তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য কী কী পরিকল্পনা প্রশ্ন প্রতিমার
দেশের তরুণ বিজ্ঞানীরা যাতে আরও বেশি করে গবেষণামূলক কাজে উৎসাহিত হন ও এগিয়ে আসেন তার জন্য সরকার কি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে? দেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উন্নয়নের জন্য শেষ তিন বছরে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে? দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের গবেষণামূলক প্রকল্পে সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বয়সের চূড়ান্ত বা সর্বশেষ সময়সীমা কী? এই সমস্ত বিশেষ প্রকল্পে সরকার কি কোনও স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে? সংসদে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে লিখিতভাবে এই প্রশ্নগুলি রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। উত্তরে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, তরুণ বিজ্ঞানীরা যাতে আরও বেশি করে গবেষণামূলক কাজে উৎসাহিত হন এবং এগিয়ে আসেন তার জন্য সরকার একাধিক প্রকল্প নিয়েছে। তরুণ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণার কাজে যাতে অর্থের অভাব না হয় সে বিষয়েও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ করেছে। বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজের জন্য ২০১৮-’১৯ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ১১১৩.১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০১৯-’২০ এবং ২০২০-’২১ সালে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০৫৬.৬ এবং ৭২৪.৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানীকে ফেলোশিপ দিতেও সরকার অর্থ খরচ করে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের যোগ্যতা এবং তাঁদের কাজের ধরনের উপর এই স্কলারশিপের অর্থ নির্ভর করে বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একজন তরুণ বিজ্ঞানীকে মাসিক ৩১ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞানীদের গবেষণামূলক বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা আলাদা বলে মন্ত্রী জানান। বয়সের উর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রেও ওবিসি এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা বা ছাড় দেওয়া হয় বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
সেইল বিলগ্নি নিয়ে প্রশ্ন কল্যাণের
প্রতিবেদন : সেইলের বিলগ্নীকরণ ইস্যুতে লোকসভায় সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে কয়েকটি লিখিত প্রশ্নের জবাব চান৷ তাঁর প্রশ্ন ছিল স্টিল এক্সিকিউটিভ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং স্টিল পাবলিক সেক্টর ইউনিটের মধ্যে কৌশলগত সংযুক্তীকরণের কি কোনও পরিকল্পনা আছে? রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত সংস্থা সেইলের বিলগ্নীকরণের বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি কী? পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সঙ্গে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট সংযুক্ত করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী?
তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে ইস্পাত মন্ত্রী রামচন্দ্রপ্রসাদ সিং জানিয়েছেন, সরকার স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সেইলের তিনটি বিভাগের বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে তিনটি শাখার বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল সালেম স্টিল প্লান্ট, বিশ্বশরেয়া আয়রন অ্যান্ড স্টিল প্লান্ট এবং ভদ্রাবতী অ্যান্ড অ্যালয় স্টিল প্লান্ট। এই তিন কেন্দ্রের বিলগ্নীকরণের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন পিএসই নীতিতে অনুমোদন দিয়েছে। ওই নীতি মেনেই বিভিন্ন সংস্থার বেসরকারীকরণের কাজ করা হবে।
আরও পড়ুন :৫ বছরে বিদেশে কত কালো টাকা? জানেই না কেন্দ্র
রেশনে খাদ্যশস্য নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর
রেশনে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাখ্যা চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়৷ তাঁর প্রশ্ন, দেশের যে সমস্ত মানুষ খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় পড়ছেন না তাঁদের আগামী দিনে রেশন থেকে প্রতি কেজি চাল ২১ টাকা এবং গম ২২ টাকা দরে কিনতে হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এটা কি ঠিক? যদি তা হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ চরম সমস্যায় পড়বেন৷ এই সমস্যা দূর করতে সরকার কী ভাবছে? বর্তমানে রেশন ডিলাররা কী পরিমাণ লভ্যাংশ বা কমিশন পেয়ে থাকেন? বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। ওই প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন রেশন দোকান থেকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় থাকা মানুষজনকে প্রতি কেজি চাল তিন টাকা ও গম দু টাকা, অন্যান্য খাদ্য শস্য এক টাকা কেজি দরে দেওয়া হয়। আগামীদিনে চাল ও গম ২১ ও ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার পরিকল্পনা নেই সরকারের৷ বর্তমানে গোটা দেশের ৮১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় রেশন থেকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। রেশন ডিলারদের কমিশন সম্পর্কে মন্ত্রী জানিয়েছেন, সাধারণ তালিকাভুক্ত রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ডিলারদের প্রতি কুইন্টালে বেসিক ৭০ টাকা ও বিশেষ ক্যাটাগরিতে থাকা রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ১৪৩ টাকা দেওয়া হয়।