প্রতিবেদন : দেশের অর্থনীতি ডুবতে বসেছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যস্ত আত্মপ্রচারে। দেশের অর্থনৈতিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। আর শিল্পে উৎপাদন নেমেছে সর্বনিম্নে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রামমন্দির নিয়ে রাজনীতিতে ব্যস্ত কেন্দ্রের শাসক দল। তখন তৃণমূল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা। একেবারে পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রমাণ দিল তৃণমূল। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি মূল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু তৃণমূল তা একে একে তুলে ধরল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তৃণমূল (TMC) এদিন তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, অর্থনৈতিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে ৯.৫৩ শতাংশ বেড়েছে। আর শিল্প উৎপাদন নভেম্বরে আট মাসের সর্বনিম্ন ২.৪ শতাংশে নেমেছে। ভোক্তা খাদ্য মূল্য সূচকের ধারাবাহিক পতন হয়েছে। দেশে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে রোজগারের বিস্তর ফারাক। ধনীদের ২০ শতাংশের আয় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষের আয় সেখানে হ্রাস পেয়েছে।
বেকারত্বের হারও রেকর্ড বেড়েছে। নতুন কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট হচ্ছে দেশে। নোটবন্দির পরে শিল্প উৎপাদনে বিরাট পতন দেখা দিয়েছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। তারপর রাজ্যগুলির মধ্যে সুযোগ-সুবিধার অসমতা বজায় রয়েছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মৌলিক সুবিধার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির মধ্যে বৈষম্য স্পষ্ট। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, অসম, ওড়িশা এবং মধ্যপ্রদেশের স্থান সবথেকে নীচে।
এছাড়া কর্মসংস্থানে লিঙ্গবৈষম্য দেখা দিয়েছে প্রবলভাবে। মহিলাদের কর্মসংস্থানের হার ১১.৮৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭.৯৬ শতাংশ। শহরাঞ্চলে মহিলাদের কর্মসংস্থানের হার কমে ১০.৭৭ শতাংশ থেকে হয়েছে ৫.৫৭ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি যেখানে ৪.১৯ শতাংশ ছিল, সেখানে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে ৯৫.৩ শতাংশ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে টমেটোর বর্ধিত দামের প্রভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছিল। ডিসেম্বরে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৭৪.১৭ শতাংশ। ডালের মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে বেড়েছে ২০.৭৩ হয়েছে। ক্রমহ্রাসমান উৎপাদন ও পক্ষান্তরে মূল্যস্ফীতি প্রভাব ফেলছে দেশের অর্থনীতিতে। ডুবতে শুরু করেছে দেশ। কোনও হেলদোল নেই কেন্দ্রের সরকারের।
আরও পড়ুন-নিশ্চিন্তে মকরস্নান সৌজন্যে ৮ মন্ত্রী, ২৪ ঘণ্টাই সজাগ প্রশাসন, প্রতি মুহূর্তে নজরদারি মুখ্যমন্ত্রীর