প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়াতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) গদ্দার অধিকারীকে সরাসরি তাঁর মুখোমুখি বসার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। দলবদলু কাঁথির নেতার সে-সাহস হয়নি। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্ররা আবারও গদ্দারকে ধুইয়ে দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানালেন।
সারদা এবং নারদা কেলেঙ্কারিতে গদ্দার অধিকারীর জড়িত থাকার কথা মনে করিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, কেন একটি ভিডিওতে তাকে কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গেলেও কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তাকে তলব করেনি। কেন? তাঁর সংযোজন, বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চ্যালেঞ্জ করার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গদ্দারকে। তাঁর প্রশ্ন, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ট্যুইট করছেন। অভিষেকের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কের আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে ক্ষতি কী? টিভি চ্যানেলের তা প্রচার করা উচিত এবং বাংলার মানুষের জানা উচিত। বিতর্ক কেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকবে? ভয় কীসের? তিনি কেবল বিতর্ক থেকে পালানোর অজুহাত দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
গদ্দারকে চ্যালেঞ্জ করে সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, সবাই ক্যামেরায় ওকে টাকা নিতে দেখেছে। সিবিআই এফআইআর-এ তার নাম রয়েছে। কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কাঁথি পৌরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সারদা-মালিক শুভেন্দু অধিকারী কত টাকা নিয়েছে তার বিবরণ দিয়ে একটি নথি জমা দিয়েছেন। এমনকী নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে, সে যে ৫৫ জনের নাম সুপারিশ করেছিল তাদের নিয়োগ আদালত বাতিল করেছে। গদ্দার অধিকারীর সাহস থাকলে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক।
রিজু দত্ত বলেন, পুরো দেশ যখন চন্দ্রযান-৩ টিমের সাফল্য উদযাপন করছিল, তখন গদ্দার সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মন্তব্যের মাধ্যমে নোংরা এবং অপমানজনক কুৎসিত রাজনীতিতে লিপ্ত ছিল। তিনিও বলেন, সাহস থাকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক।
মুখপাত্র সুদীপ রাহা বলেন, গদ্দার তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে কিন্তু তার বাবা ও ভাই কোন দলের সদস্য? বাংলার মানুষ এই প্রশ্ন করছে। ওকে উত্তর দিতে হবে যে কেন একটি স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে তার ভিডিও প্রকাশ করার পরে, সে দলে যোগদানের মুহূর্তে বিজেপি তাদের সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে ভিডিওটি সরিয়ে দিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে সে-ই প্রকৃত অপরাধী। মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব, মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল, কোহিনুর মজুমদাররাও একের পর এক প্রশ্ন করেন ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে বলেন।