প্রতিবেদন : রবিবার নন্দীগ্রামে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহিদদের উদ্দেশ্যে যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছে গদ্দার তাতে নন্দীগ্রামের আন্দোলন ও তার জন্য শহিদদের প্রতি অশ্রদ্ধাই প্রকাশ পেয়েছে। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চাওয়া দূর অস্ত, বিন্দুমাত্র অনুশোচনা দেখা যায়নি দলবদলুর ভিতর। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, এ কী ভাষা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে? বলছেন নন্দীগ্রামে ৪১ জন মরেছে। মরেছে মানে কী? এটা কি স্বাভাবিক মৃত্যু? শহিদের মৃত্যু।
আরও পড়ুন-অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস!
শহিদ বলতে হবে। শহিদের মৃত্যু হয়েছে বলতে হবে। এই বলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ৪১ জন মরেছে মানেটা কী? এ কী ভাষা? ভেতর থেকে কোনও শ্রদ্ধা নেই! ভেতর থেকে শুধু অপমান, উপেক্ষা আর মৃতদেহ নিয়ে শুধু সস্তা রাজনীতির ভাষা! নন্দীগ্রামের মানুষের সেই লড়াই, নন্দীগ্রামের মানুষের সেই আত্মত্যাগ, নন্দীগ্রামের মা-বোনেদের উপর অত্যাচারের সেই দিনগুলোতে তো শুভেন্দু অধিকারী ছিল না। তার পাঞ্জাবির একটা সুতোতেও তো টান পড়েনি। অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড তো তখন দূরে লুকিয়ে বসে থাকত। আন্দোলন তো করেছেন সেখানকার মানুষ আর নেতৃত্ব দিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে যেখানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী মরেছে শব্দটা ব্যবহার করল, শহিদদের অপমান করল তার তীব্র নিন্দা করছি। এবং শহিদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। কোনও রাজনীতিবিদের মুখে শহিদদের সম্পর্কে এরকম মরেছে বলে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে, উপেক্ষার সঙ্গে এই শব্দ ব্যবহার করা চূড়ান্ত নিন্দনীয়।