এবার রাজ্য বাজেটে বিশেষ করে নারী ক্ষমতায়ন, মহিলাদের সম্মান ও স্বনির্ভরতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়ানো হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শহরের রাজপথে মিছিল করল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। শনিবার গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত হল কেন্দ্রীয় মিছিল৷ নেতৃত্ব ছিলেন মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলররা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ এই মিছিলে পা মিলিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মহিলাও। শনিবার একই সঙ্গে গোটা রাজ্যের ব্লকে ব্লকে হয়েছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ধন্যবাদ মিছিল। রঙিন সেই মিছিলগুলিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো৷ উলুধ্বনি, ধামসা-মাদলে মুখরিত ছিল এই মিছিল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, উলুধ্বনি শুভ কাজে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- কমন প্যাসেজ বিক্রি নয় জানাল কলকাতা পুরসভা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ১০০০-কে ১২০০ এবং ৫০০-কে বাড়িয়ে ১০০০ হাজার করে রাজ্যের মহিলাদের সম্মান ও হাতকে শক্তিশালী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদজ্ঞাপন করছেন মহিলারা।
অর্থমন্ত্রীর সংযোজন, বাড়ির মেয়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা থাকতে পারে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন। এর আগে এমনভাবে কেউ মহিলাদের নিয়ে ভাবেননি। আর ভোটের দিকে নজর রেখে নয়, এই প্রকল্প আগেই হয়েছে।
এবার বাজেটে সেই টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। এটার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁরা বলছেন এটা ভোটের জন্য তাঁদের বলি, মহিলাদের বোকা বানানো সহজ নয়, মহিলারাই সমাজ গড়ে। লক্ষ্মীদের হাতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শশী পাঁজা বলেন, বিরোধীরা দিশাহারা হয়ে গিয়েছে এই বাজেট দেখে। বিজেপির কোনও অধিকার নেই মহিলাদের নিয়ে প্রশ্ন করার। এই বিজেপি বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মালা দিয়ে বরণ করে। মণিপুর নিয়ে বিজেপি কিছু বলে না, যেখানে মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। গোটা দেশে মহিলারা নির্যাতিত। দিদি মহিলাদের সম্মান দিয়েছেন। শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বাংলার মহিলাদের আত্মনির্ভর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী করেছেন, রূপশ্রী করেছেন। তাই তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ৷