চব্বিশে বিজেপিকে ভারতছাড়া করার শপথ তৃণমূল কর্মীদের

Must read

স্বৈরাচারী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার ২১ লক্ষ মানুষকে বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক ধরনা কর্মসূচি। শনিবার রেড রোডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দলের ধরনা কর্মসূচির নবম দিনে আন্দোলনের দায়িত্বে ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও নারায়ণ

গোস্বামীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এদিন সরব হলেন জেলার সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিন সকাল থেকে বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও অপমানের প্রতিবাদে বঞ্চিত মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ল রেড রোডের ধরনা মঞ্চ। বিধানসভার অধিবেশনের ফাঁকে ফাঁকে ধরনা মঞ্চে আসেন উত্তর ২৪ পরগনার সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়করা। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, রথীন ঘোষ, সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন, অর্জুন সিং, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, নুসরত জাহান, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, তাপস রায়, তাপস চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তী, ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, রাজন্যা হালদার-সহ জেলার অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা।
বিজেপির স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভারতছাড়া করে তৃণমূল কংগ্রেস দেশের মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেবে। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, হিটলার, মুসোলিনির পর সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারী নেতা নরেন্দ্র মোদি। ৪৫০-এরও বেশি বুদ্ধিজীবী মানুষকে চুপ করানোর জন্য জেলে পুরে দিয়েছে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতরত্নও এখন বাজারে বিক্রি হয়। ২৭ দিনের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংকেও ভারতরত্ন দেওয়া হচ্ছে। ভোটের আগে ভারতরত্ন নিয়েও রাজনীতি করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধমকে-চমকে দমানো যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য ধাতুতে গড়া।

আরও পড়ুন- কমন প্যাসেজ বিক্রি নয় জানাল কলকাতা পুরসভা

মন্ত্রী সুজিত বসু এদিন বলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেও দিল্লির বড় বড় নেতারা বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে এসেছিল। কিন্তু মানুষ ওদের পগার পার করে দিয়েছে। বাংলার সংস্কারকে বিভ্রান্ত করে কলুষিত করার চেষ্টা করছে ওরা। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরেক পরিচয় আন্দোলন আর উন্নয়ন। তাই কেন্দ্রের সরকার যেখানে হেরে যাচ্ছে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে যাচ্ছেন। হিংসা করে লাভ হবে না। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো চোখে চোখ রেখে, শিরদাঁড়া সোজা রেখে দিল্লির সরকারের হিংস্র মনোভাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই কারও। সিপিএমও তাঁকে মেরে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যত মেরেছে, তিনি ততই শক্তিশালী হয়েছেন। বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি অহংকারী দল। আমরা কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জয় করি। রবিবারের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধরনা কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাবে হাওড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Latest article