মানস ভট্টাচার্য: অনেক দিন পর এবারের ব্রাজিল (Brazil vs Croatia) দলটাকে দেখে মনে হচ্ছে তারা সত্যিই বিশ্বকাপ জয়ের দাবিদার। যেটা গত কয়েকটি বিশ্বকাপে মনে হয়নি। ক্যামেরুন ম্যাচ ছাড়া বাকি তিনটি ম্যাচের মধ্যে তিতের দল সেরা খেলাটা খেলেছে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আরও আকর্ষণীয় ফুটবল উপহার দিতে চাইবে ব্রাজিল। ম্যাচে নেইমাররাই এগিয়ে থেকে শুরু করবে। ক্রোয়েশিয়া গত বিশ্বকাপের রানার্স হলেও এবার লুকা মদ্রিচ, পেরিসিচদের বয়স বেড়েছে। তাই ব্রাজিলীয়দের আক্রমণাত্মক ফুটবলের জবাব তারা কীভাবে দেয়, সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। তবে তিতের দলকে সতর্ক থাকতে হবে।
দুই দলের দুই কোচ তিতে এবং জ্লাটকো দালিচ দু’ধরনের রণনীতিতে দলকে খেলান। নেইমার, রিচার্লিসনদের কোচ আক্রমণাত্মক ছকে খেলান। মদ্রিচদের কোচ আবার একটু রক্ষণাত্মক মানসিকতার। লভরেন, গার্ডিওলদের নিয়ে গড়া ডিফেন্স জমাট রেখে প্রতিআক্রমণ-নির্ভর ফুটবলে বাজিমাত করার চেষ্টায় থাকেন। ব্রাজিল নিশ্চয় ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণভাগের বাঁ-দিকটা নিয়ে সতর্ক থাকবে। কারণ, ইভান পেরিসিচ বাঁ-দিক দিয়ে আক্রমণগুলো তুলে আনে। জানি না, অ্যালেক্স সান্দ্রো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে কি না! যদি ও লেফট ব্যাকে খেলে তাহলে রাইট ব্যাকে দানিলো হয়তো শুরু করবে। তাহলে দানিলো এবং রাইট উইঙ্গার রাফিনহার উপর দায়িত্ব থাকবে পেরিসিচকে আটকানোর।
আরও পড়ুন-৩ দিনের ব্যবধানে ২ বার গ্রেফতার সাকেত, গর্জে উঠলেন অভিষেক
মাঝমাঠে কাসেমিরো, লুকাস পাকেতাদের সঙ্গে লড়াই হবে মদ্রিচ, ব্রোজোভিচ, কোভাচিচদের। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ যে দলের হাতে থাকবে ম্যাচের রাশ তাদের হাতেই থাকবে। তবে ব্রাজিলীয়রা (Brazil vs Croatia) যে আক্রমণাত্মক ফুটবলটা খেলছে তাতে এই লড়াইয়ে কাসেমিরোরাই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করি। নেইমারের নেতৃত্বে দুরন্ত আক্রমণ ব্রাজিলের। রিচার্লিসন, ভিনি জুনিয়র, নেইমার তিন জনেই আগের ম্যাচে গোল পেয়েছে। স্ট্রাইকাররা আটকে গেলে কাসেমিরো, পাকেতারও উঠে এসে গোল করছে। এই ধরনের ম্যাচে শুরুতে গোল করে এগিয়ে যেতে পারলে যে কোনও দলের কাছেই অ্যাডভান্টেজ। মদ্রিচ বা নেইমাররা নিশ্চয় সেটা চাইবে। প্রতি ম্যাচেই প্রচুর গোলের সুযোগ নষ্ট করছে ব্রাজিল। নক আউট ম্যাচে সেটা হলে তার খেসারত দিতে হতে পারে দলকে। আমি চাইব, ম্যাচ ৯০ মিনিটেই শেষ হোক। উপভোগ্য একটা ম্যাচের অপেক্ষায় রইলাম।