প্রতিবেদন : সাড়ে চার বছর অপেক্ষার পর ডার্বি জয়। আর সেই জয়ের আমেজ পুরোপুরি কাটার আগেই ফের মাঠে নেমে পড়তে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। সোমবার কলকাতা লিগে ঘরের মাঠে লাল-হলুদের রিজার্ভ দলের প্রতিপক্ষ পুলিশ এসি (East bengal- Police AC)।
রবিবার নিজেদের মাঠে রিজার্ভ দলের ফুটবলারদের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন বিনো জর্জ। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East bengal- Police AC)। বিনোর বক্তব্য, প্রাথমিক লক্ষ্য সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করা। তাই প্রতিটি ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচে জিতলেও, অনেকগুলো গোলের সুযোগ নষ্ট হয়েছিল। কালকের ম্যাচে একই ভুল করলে চলবে না। দ্রুত গোল তুলে নিতে হবে। লাল-হলুদের সহকারী আরও বলেন, আমাদের দলে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু সবাই তরুণ এবং অনভিজ্ঞ। তবে ডার্বি জয় ওদেরও ভাল খেলার জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে।
শনিবার রাতে ডার্বি জিতে হোটেলে ফেরার পর রীতিমতো কেক কেটে উৎসব করেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত এবং সিনিয়র টিমের ফুটবলাররা। ডার্বির দিন সকালে শহরে পা রাখা ক্লেটন সিলভা ও হরমনজোৎ খাবরা কেক কাটেন। তাঁদের ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাকিরা। ডার্বির নায়ক নন্দকুমারকে ডেকে কেক খাওয়ান খাবরা। তাঁর মুখে কেক মাখিয়েও দেন। রবিবার সিনিয়র দলের প্র্যাকটিস রাখেননি কুয়াদ্রাত। সকালে কুলিং অফ করিয়েই ছেড়ে দেন। তবে ডার্বি জয়ের আমেজ ঝেড়ে লাল-হলুদ কোচের চোখ এখন ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া মোহনবাগান গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যেই শেষ আটের টিকিট আদায় করেছে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইস্টবেঙ্গল।
বুধবার গ্রুপের শেষ ম্যাচ পাঞ্জাব এফসির মুখোমুখি হবে লাল-হলুদ। জিতলে তো বটেই, ড্র করলেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা পাকা কুয়াদ্রাতের দলের। এদিকে, শনিবার ভোররাতেই শহরে চলে এলেন লাল-হলুদের ষষ্ঠ বিদেশি, স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হোসে আন্তোনিও পারদো লুকাস।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গির দমন ৯২৬ জনকে নোটিশ ৬টি মামলা দায়ের বালি পুরসভার