১৯৬১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। পর্তুগিজ শাসনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল গোয়া। দিনটি গোয়ায় পালিত হয় ‘গোয়া লিবারেশন ডে’ (Goa Liberation Day) হিসাবে। এটি গোয়ার ৬১তম স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: অরুণাচলের ভুয়ো ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়ালেন রিজিজু
আজ থেকে ৬১ বছর আগে পর্তুগিজ শাসনের হাত থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ভোর এনেছিলেন তৎকালীন গোয়ার (Goa Liberation Day) যোদ্ধারা। ভেঙেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল। গোয়ার ৬১তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, গোয়ার স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রণাম জানাই। আসুন আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মাধ্যমে মুক্তির চেতনাকে সমুন্নত রাখি।
Extending my greetings to all Goans on the occasion of Goa’s Liberation Day.
61 years ago Goa earned its rightful freedom, we remember & honour the bravehearts who fought for independence.
Let’s uphold the spirit of liberation through our democratic values
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 19, 2022
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ভারত ইংরেজদের শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে গেলেও গোয়া নতুন করে দখল করে বসে পর্তুগিজরা। আসলে ইংরেজরাই ষড়যন্ত্র করে গোয়াকে পর্তুগিজদের হাতে তুলে দিয়েছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু অনেকবার পর্তুগিজদের গোয়া ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালেও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে ১৯৬১ সালে স্থল, বায়ু ও নৌবাহিনী নিয়ে গোয়ায় অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। দ্বীপরাজ্যকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে সেনা। চাপের মুখে ১৯ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে তৎকালীন পর্তুগিজ গভর্নর ম্যানু বাসেলো ডি সিলভা ভারতের গোয়া সমর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এরই সঙ্গে গোয়া-দমন-দিউতে পর্তুগিজদের ৪৫১ বছরের পুরনো উপনিবেশিক শাসন শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর ১৯৬২ সালে দয়ানন্দ ভাণ্ডারকর হন গোয়ার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।