আগেই দিনক্ষণ ঠিক ছিল। সেই মতোই মঙ্গলবার আদ্যপীঠ (Adyapith) মন্দির দর্শনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MamataBanerjee)। এদিন তার সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রী। এই সময়ে মন্দির দর্শনের জন্য বন্ধ থাকে কিন্তু আদ্যাপীঠ মন্দিরের মহারাজের কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়ে এই সময়ে মায়ের দর্শনে আসার কথা নির্ধারণ করা হয়। মন্দিরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মায়ের পুজো ও আরতি করেন এবং তারপর কেন এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদ্যাপীঠ এসেছেন সে কারণটি সকলকে জানান।
আরও পড়ুন-বাংলায় ২ কোটি ২৩ লক্ষ শিশুর হাম-রুবেলার সফল টিকাকরণ, স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি অনেকবার দক্ষিণেশ্বর, আদ্যাপীঠ এসেছি। কিন্তু এবার গত কয়েকদিন ধরে মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। মা এখানে এসে বসে থাকত। আজ আমি আদ্যাপীঠে এসেছি আমার মাকে স্মরণ করি।’ ২০০৯ সালের একটি ঘটনার কথা এদিন বলেন তিনি।
আরও পড়ুন-চিঠিতে ED-র সমনের জবাব দিলেন অভিষেক
পুরোনো কথা মনে করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তখন আমি রেলমন্ত্রী। আমার মা সেবার আমার ছোট বোনকে নিয়ে পুজো দিতে আদ্যাপীঠে এসেছিলেন। আমি নিজে একটা পাতলা সুতির শাড়ি কিনে মায়ের হাতে দিয়ে পুজো দিতে বলেছিলাম। মা সেই শাড়ি নিয়ে বোনের সঙ্গে ভোর চারটেয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন-প্রতিহিংসা ও বঞ্চনা প্রতিবাদে আজ পথে মহিলা তৃণমূল
ওইদিন তাঁর মা ও বোনকে দেখে যারা পুজো নেন তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁরা আদ্যা মায়ের জন্য কোন শাড়ি এনেছিলেন কিনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মা আর বোন ভোর ৪টে থেকে এসে বসেছিলেন। অনেকে জিজ্ঞেস করেন, কাপড় এনেছেন কি না। মা কাপড়টা দেখান। আমরা মাকে ভাল শাড়ি দিই সাধারণত, যেমন বেনারসী। আদ্যাপীঠে অনেক ভাল শাড়ি আসে। কিন্তু অত কম দামি…কেউ আন্দাজ করতে পারেননি। সন্ধে হয়ে গেলেও মা বাড়ি না আসায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। পরে মা এসে বাকিটা বলল। মন্দিরে তাঁর মাকে বসতে বলা হয়। বলা হয়, প্রতিমাকে সাধারণত বেনারসি পরানো হয়। অনেক দামি শাড়ি আসবে। ভাল শাড়ি এলে যখন পরানো হবে, তখন শাড়িটা দিলে পুজোয় দেওয়া হবে। ভোর ৪টে থেকে বিকেল ৫টা বাজার পর এসে বলা হয়, একটাও শাড়ি আসেনি তখনও। সেই সময় পুরোহিত মশাই ওই শাড়িই নিয়ে গিয়ে প্রতিমাকে পরিয়ে দেন।’