আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী পদের ১২ বছর পূর্ণ হল। আজ শুক্রবার সকালে সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন কবলিত কিছু এলাকা ঘুরে দেখে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিলেন তিনি।
এদিন তিনি মঞ্চ থেকে বলেন, ‘৫ মে। আজ আমার ১২ বছর পূর্ণ হবে মুখ্যমন্ত্রীর। আমি প্রণাম জানাই বাংলার মানুষকে। আমার কোনও দিন রেস্ট নেই, কোনও ছুটি নেই। আমার একটাই কাজ মানুষের জন্য কাজ করা।’
আরও পড়ুন-‘এটা দিল্লির সাবজেক্ট, আমাদের নয়’, ফরাক্কা ব্যারেজ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন তিনি ভাঙ্গন সংক্রান্ত বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘পর্যটনে মুর্শিদাবাদ জেলা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। আমি নীতি আয়োগকেও বলেছি। আমি মুখ্যসচিবকেও বলব, ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। পলি পড়ে যায় একদিকে, আরেকদিকে জল। দূরে দূরে বাড়ি করবেন। আমি এলাকার মানুষজনকে বলব, নদী থেকে বাড়ি দূরে তৈরি করুন। পাঁচ কিমি অন্তত। একটু দূরে তৈরি হলে বাড়ি ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।গতকাল ৫০ কোটি টাকা সামশেরগঞ্জের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল, পরিস্থিতি অনেকটাই ভয়াবহ। তাই ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। রাজ্য পরিবেশ দফতর ৫০ কোটি এবং সেচ দফতরের খাত থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এক বছরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।’
আরও পড়ুন-স্বাধীনতার পরে আসা বাংলাদেশি পরিবারের হাতে এবার জমির মালিকানা স্বত্ব দেবে রাজ্য
তিনি বলেন, ‘রাজ্য পরিবেশ দফতর ৫০ কোটি এবং সেচ দফতরের খাত থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এক বছরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। ১০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে করতে হবে।কেন্দ্র টাকা না দিলেও এই গঙ্গা ভাঙনের কাজে আমরা ইতিমধ্যেই ১ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। জঙ্গিপুরে নতুন হাসপাতাল হচ্ছে। আরও অনেক কিছু। ফরাক্কায় তো আমরা করতেই চাই। কাল সামশেরগঞ্জে ৩০০ বেডের হাসপাতাল মাতৃমা উদ্বোধন করা হয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের আর দূরে যেতে হবে না। আরও কাজ করা হবে। চিন্তা করবেন না। আমরা সাধ্যমতো করব।’
আরও পড়ুন-বিরোধী দলনেতাকে তদন্তে অন্তর্ভুক্তির দাবি তৃণমূলের, প্রকাশ্যে সেই ভিডিও
মুর্শিদাবাদ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদে আপনারা অনেক রাজনৈতিক নেতার জন্ম দিয়েছেন। অনেক নেতারা বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু একটা কাজ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। ফলে কাজটা আমাদেরই করতে হবে। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। বলে দিয়েছে, চব্বিশ সাল পর্যন্ত বাংলাকে কোনও টাকা দেবে না। বাংলা লড়াই করে বলে দেবে না।’