প্রতিবেদন: স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তি। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শহর (Kolkata) জুড়ে নেমে আসে অন্ধকার। প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকে কালবৈশাখী (Kalbaishakhi)। এরপরই মুষলধারে বৃষ্টি। শহরের রাস্তায় বিকেলে গাড়ির হেডলাইট জ্বালাতে হয় চালকদের। বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস শহরবাসী (Kolkata- Kalbaishakhi) স্বস্তির বৃষ্টি অনুভব করার আগেই একের পর এক বিঘ্ন ঘটতে থাকে। ঝড়ের তাণ্ডবে পড়ে যায় বহু গাছ। যানজট, দুর্ঘটনায় একপ্রকার এলোমেলো হয়ে যায় জনজীবন। মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশনের আপলাইনে গাছ পড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। বেশ কয়েকঘণ্টা টালিগঞ্জ, নিউ গড়িয়া পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রেড রোড, বালিগঞ্জে, সার্দান অ্যাভিনিউ ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। বিদ্যুতের তার গাছের ডালে জড়িয়ে যায়। তবে পুরসভার টিম তড়িঘড়ি পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। গাছ কাটা শুরু করা হয়। রাস্তা কিছুটা পরিষ্কার করে স্বাভাবিক করা হয় যাতায়াত ব্যবস্থা। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টের গাড়িতে গাছ পড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। হেদুয়ায় চলন্ত গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে সিগন্যাল পোস্ট। অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রী। ইডেনের গ্রাউন্ড কভার উড়ে যায় প্রবল ঝড়ে। আইপিএলের অনুশীলন বন্ধ যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনও। প্রেস বক্সের একাংশ ভেঙে পড়ে। ট্রেনের ওভার হেডে তার ছিঁড়ে ব্যাহত হয় কলকাতার শহরতলির রেল পরিষেবা। হাওড়া, হুগলি, বনগাঁ শাখার ট্রেন বহুক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। নাকাল হন যাত্রীরা। দুর্যোগে ব্যাহত হয় বিমান পরিষেবাও। গুয়াহাটি থেকে কলকাতাগামী বিমান অবতরণের সময় ঘটে বিপত্তি। প্রবল ঝড়ের কারণে মাঝ-আকাশেই বেশ কিছুক্ষণ চক্কর কাটে বিমান। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে হাওড়ার একাধিক এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। প্রবল দুর্যোগের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় লঞ্চ পরিষেবাও। এর ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা কয়েক ঘণ্টার জন্য প্রায় থমকে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তৎপর ভূমিকা পালন করেছে প্রশাসন। শনিবারই কয়েকটি জায়গায় ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ সরানো হয়। পুরকর্মীরা বহু জায়গায় গাছ কাটতে পৌঁছে গেলে সিইএসসি বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ না করায় কাজে দেরি হয়। পরে গাছ কেটে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নয়া স্কুলশিক্ষা কমিশনার