প্রতিবেদন : ঝাড়খণ্ডের উপরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। তার ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ইতিমধ্যেই ঢুকছে বাংলায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝড়বৃষ্টির (Rain) সতর্কতা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে আগামী শুক্রবার ১০ মে পর্যন্ত। জোড়া ঘূর্ণাবর্ত এবং অক্ষরেখার জেরে সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে তুমুল ঝড় বৃষ্টি (Rain)। এর জেরে শুধু কলকাতাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের পাঁচ ডিগ্রি নীচে নেমে গেল। দক্ষিণের চার জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ১০ জেলায় বইতে পারে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া। ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমানে বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। গোটা দক্ষিণবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা। আজ এবং আগামিকালও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলার কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবারও উত্তরের আট জেলায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা-সহ ১১ জেলাতে কালবৈশাখীর সতর্কতা। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির পরিমাণ ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন- উন্নয়নের কথা পিছনের সারিতে, এখন কেবল ধর্ম আর ধর্ম