প্রতিবেদন : আজ রাজ্য বাজেট। বুধবার দুপুর দুটোয় বিধানসভায় ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সাধারণ দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষকে বঞ্চিত করা ‘লোকঠকানো’ কেন্দ্রীয় বাজেটের পর রাজ্যবাসী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন উন্নয়নমুখী রাজ্য বাজেটের দিকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনেই বিজেপি-সরকারকে তুলোধোনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের উন্নয়নের দিশা নির্দেশ না থাকলে সেই বাজেট ব্যর্থ।
আরও পড়ুন-২০৩ ঘণ্টা পরেও প্রাণের খোঁজ, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৮ হাজার
তাই প্রতিবারের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজেটের মূল দিশা যে সার্বিক উন্নয়ন হতে চলেছে তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলের মতো সাধারণ মানুষের মনেও কোনও দ্বিমত নেই। সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাজেটের খুঁটিনাটিতে চোখ বুলিয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকার বাংলাকে যতই আর্থিক বঞ্চনা করুক না কেন, রাজ্যে চলা কোনও সামাজিক প্রকল্পই বন্ধ হবে না। উল্টে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাতে পারে এবারের বাজেট।
আরও পড়ুন-পড়েই চলেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দর
তবে এবারের বাজেটে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সামনে সব থেকে কঠিন হতে চলেছে রাজকোষ ঘাটতি মেটানো। নানা কারণে রাজ্যের কোষাগারে বেশ টান পড়েছে। রাজ্যের নিজস্ব আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ টাকা এখন নানা আর্থসামাজিক প্রকল্প চালাতে খরচ হয়ে যায়। তারপরে নিয়মমতো সব খরচ করে দেখা যায় বড়জোর ১০ শতাংশ টাকা হাতে থাকছে অনান্য উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে চন্দ্রিমা আমজনতাকে বিকল্প কোন আয়ের রাস্তা দেখান বা রাজ্যকে বাড়তি আয় এনে দিতে পারেন সেটা দেখার জন্য অনেকেই তাকিয়ে থাকবেন। রাজ্য সরকার গ্রামের গরিব মানুষদের জন্য নিজস্ব ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আনতে চাইছে। সেই সম্পর্কে আগামিকাল চন্দ্রিমা তাঁর বাজেটে কিছু ঘোষণা করেন কি না তা নিয়ে কৌতূহল থাকছে। আবাস থেকে পানীয় জল সরবরাহ, মিড ডে মিল, এই বিষয়ে রাজ্য সরকার নিজের কোনও নতুন প্রকল্প সামনে আনে কি না সেদিকেও সকলে তাকিয়ে থাকবেন।