পরশপাথর

ভাবগম্ভীর পরিবেশেও যাঁর পরশ হাসির ঝরনা বইয়ে দিত, গম্ভীর মুখেও যিনি অন্যদের পেটে খিল ধরিয়ে দিতে পারতেন, সেই হাসির পরশপাথর তুলসী চক্রবর্তীর সার্কাস জীবন থেকে অভিনয় জীবনের এক অন্য চিত্রনাট্য ড. শঙ্কর ঘোষ–এর কলমে।

Must read

গৌরচন্দ্রিকা
কলকাতা ফকিরপুকুর লেনের অন্নপূর্ণা বোর্ডিং হাউসের মালিকের নাম রজনী চ্যাটার্জি। তাঁর জীবনে দুটি বড় দুঃখ। অনেক করেও তিনি বোর্ডিংয়ের সদস্যদের যেমন মন পান না আবার বাড়িতে স্ত্রী অন্নপূর্ণারও মন পান না। স্ত্রী মুখঝামটা দিয়ে বলেন, ‘‘আমার প্রাণে অত শখ নেই। ছেলেমেয়েরা বাড়ন্ত হচ্ছে না।” অন্নপূর্ণা বোর্ডিং হাউস নামের পুরুষদের এই মেসে রজনী চ্যাটার্জির আত্মীয় রমলা তাঁর মা-বাবাকে নিয়ে এসে উঠতে বিপত্তি বাধল। রমলাকে কেন্দ্র করে এদের মধ্যে লাগল তুমুল চাঞ্চল্য। মেসের বাসিন্দাদের নির্বাচিত মুখপাত্র রামপ্রীতির সঙ্গে রমলার প্রথম লাগল বিরোধ। পরে আস্তে আস্তে সেই বিরোধ প্রেমে পরিণত হতে শুরু করে। চিঠি লেখালিখি চলে। তেমনই একটি চিঠি হঠাৎ এসে পৌঁছয় রজনী চ্যাটার্জির পকেটে। গ্রামের বাড়িতে স্বামীর জামার পকেট থেকে সেই প্রেমপত্র আবিষ্কার করেন অন্নপূর্ণা। চিঠি পড়ামাত্র স্ত্রী শুরু করে দেন হুলস্থুল কাণ্ডকারখানা। স্বামীর পিছু ধাওয়া করে সদলবলে মেসে চলে আসেন অন্নপূর্ণা। সেখানে সবকিছুর নিষ্পত্তি হয়। যাদের মধ্যে প্রেমপত্র লেখালেখি; সেই রামপ্রীতি ও রমলার বিয়ে। মধুরেণ সমাপয়েৎ। যে ছবির গল্প বলছিলাম তা বুঝতে নির্ঘাত কারও সময় লাগেনি। ঠিকই ধরেছেন, ছবির নাম ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এমন অনেক পাঠক আছেন যাঁরা একবার নয়, এই ছবি বহুবার দেখেছেন। আবারও দেখতে পারেন। নির্মল দে পরিচালিত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ জমিয়ে রেখেছিলেন রজনী চ্যাটার্জিরূপী তুলসী চক্রবর্তী। চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। পাশে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করছেন অন্নপূর্ণা চরিত্রের শিল্পী মলিনা দেবী।

আরও পড়ুন-বিস্ময় বালিকা

গুণী মানুষ
তুলসী চক্রবর্তীর জন্ম ১৮৯৯ সালের ৩ মার্চ কলকাতায়। বাবার নাম আশুতোষ চক্রবর্তী। মায়ের নাম নিস্তারিণী দেবী। অল্প বয়সেই বাবাকে হারান। ফলে পড়াশোনা বেশিদূর করতে পারেননি। জ্যাঠামশাইয়ের কাছেই মানুষ হন। ছোট বয়সে জীবিকার টানে যোগ দিয়েছেন মতি রায়ের সার্কাসে। পুরো একটা বছর ছিলেন। অনেক গুণ ছিল তাঁর। নাচতে গাইতে পারতেন খুব ভাল। তবলা ও পাখোয়াজ বাজাতে পারতেন। তাঁর অভিনয় ও নৃত্যের শিক্ষাগুরু ছিলেন দেবকণ্ঠ বাগচি। ৮ টাকা মাইনেতে স্টার থিয়েটারে যোগ দিয়েছিলেন ছোট ছোট রোলে অভিনয়ের জন্য। এই কাজ তাঁকে পরে বড় অভিনেতা করতে সাহায্য করেছিল।
দক্ষ অভিনেতা
তুলসী চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ পান প্রেমাঙ্কুর আতর্থী পরিচালিত ‘পুনর্জন্ম’ ছবিতে ১৯৩৩ সালে। পরে তিনি প্রায় ২০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অধিকাংশ ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে কিন্তু দর্শকের মধ্যে দাগ কেটেছেন বড় আকারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে আছে শ্রীগৌরাঙ্গ, মানময়ী গার্লস স্কুল, প্রতিশ্রুতি, শেষ উত্তর, বন্দী, উদয়ের পথে, সন্ধি, দুই পুরুষ, মানে না মানা, পথের দাবী, ভুলি নাই, অঞ্জনগড়, সমাপিকা, কবি, মেজদিদি, দর্পচূর্ণ, আনন্দমঠ, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম, মহাপ্রস্থানের পথে, পল্লীসমাজ, শুভদা, ওরা থাকে ওধারে, চাপাডাঙার বউ, সদানন্দের মেলা, অন্নপূর্ণা মন্দির, ছেলে কার, যদু ভট্ট, গৃহপ্রবেশ, সমাপিকা, পথের পাঁচালী, সবার উপরে, সাহেব বিবি গোলাম, একটি রাত, চিরকুমার সভা, শ্যামলী, সূর্যমুখী, হারজিত, বড়দিদি, আঁধারে আলো, পৃথিবী আমারে চায়, চন্দ্রনাথ, পরশপাথর, যমালয়ে জীবন্ত মানুষ, অযান্ত্রিক, ইন্দ্রাণী, যৌতুক, সূর্যতোরণ, চাওয়া পাওয়া, দেড়শো খোকার কাণ্ড, দীপ জ্বেলে যাই, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন, শেষ পর্যন্ত, দুই ভাই, সপ্তপদী, কানামাছি, বিপাশা, শাস্তি, কাজল, বেনারসি, হাই হিল প্রভৃতি।

আরও পড়ুন-কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার মতো বাংলাদেশেও হতে পারে কলকাতা বইমেলা

পেশাদার মঞ্চাভিনেতা
বহু অপেরাধর্মী নাটকে পুরুষ ও নারী শিল্পীদের সমবেত নাচ-গানে অংশ নিতেন তিনি। কেউ অনুপস্থিত হলে তাঁর পার্টটা করে দিতেন। এভাবে থিয়েটারে তাঁর শিক্ষানবিশ পর্ব চলতেই থাকে। ১৯২৫ সালে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ পেলেন ‘ঋষির মেয়ে’ নাটকে সত্যসেন-এর চরিত্রে। এরপর স্টার থিয়েটারের সব নাটকেই অভিনয় করেন। মাঝে কিছুদিন স্টার থেকে সরে গিয়ে নাট্য নিকেতন, রংমহলে অভিনয় করেন। পরে আবার ফিরে এলেন সেই স্টার থিয়েটারে। এখানেই ‘শ্রেয়সী’ নাটকে পাঁচুর চরিত্রে তাঁর শেষ অভিনয়। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক এবং অভিনীত চরিত্রগুলি হল চণ্ডীদাস (সনাতন), চক্রব্যূহ (দোণাচার্য), শ্রীকৃষ্ণ (বিদুর), মন্ত্রশক্তি (গোবিন্দ), দুই পুরুষ (কমলাপতি), কঙ্কাবতীর খাট (যদুপতি), শ্রীকান্ত (রতন), দুই পুরুষ (কমলাবতী), পরিণীতা (ঠাকুর), ডাকবাংলো (গোবিন্দ) প্রভৃতি।

আরও পড়ুন-আজ পরীক্ষা দেবেন ৬,৯০,৬৩২, টেট বানচালে চক্রান্ত চলছে, অভিযোগ পর্ষদ সভাপতির

বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে কাজ
তিনি যে শুধু সত্যজিৎ রায়, নির্মল দে’র ছবিতে কাজ করেছেন এমন নয়, তাঁর সময়ের সব বিখ্যাত পরিচালকের ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। সেই তালিকায় আছেন প্রমথেশ বড়ুয়া, নীরেন লাহিড়ী, বিমল রায়, দেবকীকুমার বসু, হেমেন গুপ্ত, চিত্ত বসু, অগ্রদূত, অজয় কর, কার্তিক চট্টোপাধ্যায়, সুধীর মুখোপাধ্যায়, ঋত্বিক ঘটক, অসিত সেন, বিকাশ রায়, যাত্রিক, তপন সিংহ প্রমুখ পরিচালক।

আরও পড়ুন-EXCLUSIVE সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক সাকেত গোখেল, মেঘালয়-গোয়া-ত্রিপুরায় দলের স্ট্র্যাটেজি জানতেই গ্রেফতার

মূল্যায়ন
কিছু কিছু ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকরা ভুলতেই পারবেন না। সেই তালিকায় ‘পরশপাথর’ ছবির কথা আসবেই। বিস্ফারিত চোখে অলৌকিক সব ঘটনা দেখছেন। ওই অভিনয় ভোলার নয়। এমন সর্বগুণসম্পন্ন শিল্পীকে ছবির জগতে যথার্থ মর্যাদা দিয়েছেন বিশ্ববন্দিত পরিচালক সত্যজিৎ রায় তাঁর ‘পরশপাথর’ ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ দিয়ে। ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিতে হোটেলে আত্মগোপন করা নায়িকার সুচিত্রা সেন সেবাযত্নে বাড়াবাড়ির দৃশ্যগুলিতে হোটেল মালিক হিসেবে তুলসী চক্রবর্তীর অভিনয় কি ভোলার? ‘ওরা থাকে ওধারে’ ছবিতে একদিকে ঘটির দল (ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার) অন্যদিকে বাঙালের দল (ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, ধীরাজ ভট্টাচার্য)। এঁদের বাড়িওয়ালা হিসেবে তুলসী চক্রবর্তীর অভিনয় দুর্দান্ত। কৌতুকাভিনয়ের পাশাপাশি সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয়েও দর্শকদের চোখে পড়েছেন। প্রেমে উন্মাদ নায়ক তাপসকে (বসন্ত চৌধুরী) নিয়ে বোর্ডিং হাউসের রুমমেট তুলসী চক্রবর্তী যেভাবে বিব্রত থেকে নার্স রাধা মিত্রের(সুচিত্রা সেনের) দ্বারস্থ হন, ‘দীপ জ্বেলে যাই’ ছবির সেই সব মুহূর্ত চিরন্তন। ‘শুভদা’ ছবিতে মাতালের চরিত্রে অল্প সময় তুলসী চক্রবর্তী এক অন্য মাত্রার অভিনয় প্রতিভার পরিচয় দেন। ‘সপ্তপদী’ ছবিতে ডাক্তার কৃষ্ণেন্দুর (উত্তম কুমার) অনুগত ভৃত্যের ভূমিকায় যে দরদভরা অভিনয় দেখান তার তুলনা খুঁজে পাওয়া ভার। ‘একটি রাত’ ছবিতে এক বাসের অযোগ্য পান্থশালার মালিকের চরিত্রে তিনি প্রচুর হাসিয়েছেন। ‘শুনবরনারী’ ছবিতে নায়িকা যূথিকার (সুপ্রিয়া দেবী) নজরদারির চরিত্রে তাঁর অভিনয়ে ভোলা যায় না। বহু ছবিতে পর্দায় হয়তো অনেকক্ষণের জন্য তিনি নেই, কিন্তু যেটুকু সময়ের জন্য আছেন, সেখানে দর্শকরা তাঁর অভিনয় থেকে চোখ ফেরাতে পারেননি।

আরও পড়ুন-রাস্তা সারাতেও দিচ্ছে না রেল: টক টু মেয়রে গৌতম

রসিক মানুষ
ব্যক্তিগত জীবনে রসিক মানুষ ছিলেন তুলসী চক্রবর্তী। তাঁর একটা ঘটনার কথা বলি। একদিন তিনি যথারীতি স্টার থিয়েটারের লবিতে আসর জমিয়ে বসেছেন তখন যে নাটকের অভিনয় চলছে তার পরিচালক দেবনারায়ণ গুপ্ত তুলসী চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘আজ কী বাজার করলেন তুলসীদা?” তুলসী চক্রবর্তী বললেন, ‘‘আর বোলো না ভাই। বড্ড হয়রানি হতে হয়েছে ফুল কিনতে গিয়ে। কোনও ফুলের দোকানে আজ কর্তা পাতা নেই।” দেবনারায়ণ গুপ্ত বললেন, ‘‘কর্তাপাতা? এমন নাম তো কখনও শুনিনি!” তুলসী চক্রবর্তী বলেই চলেছেন, ‘‘আচ্ছা বলো কর্তাপাতা না হলে কি নারায়ণের পুজো হয়?” সবাই যখন মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন তখন তুলসী চক্রবর্তীর পাশে বসা জনপ্রিয় অভিনেতা জহর গঙ্গোপাধ্যায় এই নামরহস্যের সমাধান করেন। তিনি বললেন, ‘‘ওর বউ তো তুলসী নামটা উচ্চারণ করতে পারে না। তাই বলে কর্তাপাতা। আমাদের কাছে সেই নামটা, সেই কথাটা কেমন কায়দা করে জানিয়ে দিলে দেখছেন।” এমনই রসিক মানুষ ছিলেন সবার প্রিয় অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তী। শিল্পীরা বলতেন, ‘‘তুলসীদা আপনি স্ত্রীকে নিয়ে তীর্থ পর্যটনে কেন মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়েন না?” তার উত্তরে তুলসী চক্রবর্তী বলতেন, ‘‘যে থিয়েটারে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের পায়ের ধুলো পড়েছে, এই স্টার থিয়েটারে স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, স্বামী ব্রহ্মানন্দের পায়ের ধুলো পড়েছে— এর থেকে বড় তীর্থ আর কী হতে পারে?”

আরও পড়ুন-রাস্তা সারাতেও দিচ্ছে না রেল: টক টু মেয়রে গৌতম

জীবনযাপন
যত বড় মাপের অভিনেতা ছিলেন ঠিক ততখানি সাধারণ জীবন যাপন করতে ভালবাসতেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘পরশপাথর’ ছবির শ্যুটিং চলার সময় স্টুডিওর গাড়ি তাঁর বাড়ি যেত তাঁকে নিয়ে আসতে, পৌঁছে দিতে। এতে শিল্পী অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। শিবপুর থেকে টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়ায় ট্রামে করে আসতে-যেতে তিনি যেন প্রাণের ছোঁয়া পেতেন। সহযাত্রীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে আসতে-যেতেই তিনি বেশি ভালবাসতেন। সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন বলেই, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী চূড়ান্ত দারিদ্রের মুখে পড়েন। কোনও সঞ্চয় নেই। নানান দিক থেকে সামান্য কিছু অনুদানে তাঁর স্ত্রীর সংসার কোনওমতে চলেছিল।

আরও পড়ুন-বীরবাহার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে দেখান

শেষের সেদিন
তুলসী চক্রবর্তী মারা যাওয়ার আগে, যে পুরোহিত বাড়িতে পুজো করতেন, তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন যে যদি তাঁর মৃত্যুর পর পুরোহিত তাঁর স্ত্রীর দেখভাল করেন, তাহলে তিনি ওই বাড়ি পুরোহিতের নামে রেজিস্ট্রি করে দেবেন। পুরোহিত সম্মত হন। সেই কথার উপর বিশ্বাস করে তুলসী চক্রবর্তী গিয়ে বাড়িটা রেজিস্ট্রি করেন। সেদিন সন্ধ্যায় গলদা চিংড়ি, ফুলকপি ও কড়াইশুঁটি কিনে আনেন। রাতে সেই রান্না খেতে খেতে বাড়ির রেজিস্ট্রেশনের কথা স্ত্রীকে বলেন। রেগে গিয়ে স্ত্রী দলিলটা ছিঁড়ে ফেলতে যান, কিন্তু তুলসী চক্রবর্তী ছিঁড়তে দেননি। বললেন, ‘‘বড্ড ভুল হয়ে গেছে।” সেই তাঁর শেষ কথা। রাত্রে খাওয়া-দাওয়ার করার পর শরীরটা খারাপ হয়। সকালে মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে। ডাক্তার ডাকা হয়। তখন সব শেষ। দিনটা ছিল ১৯৬১ সালের এমনই এক ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ। সর্বকালে সর্বদেশে এমন কিছু মানুষের জন্ম হয় যাঁরা সাধারণ মানুষকে শুধু উজাড় করে দিতে আসেন, পান না কিছুই। সেই তালিকায় অগ্রগণ্য নাম আমাদের তুলসী চক্রবর্তীর।

Latest article