সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই ট্রেন বিভ্রাট শিয়ালদহ—বনগাঁ (Sealdah-Bangaon) শাখায়। এর জেরে সোমবার সকালে চরম দুর্ভোগে পড়লেন নিত্যযাত্রী থেকে বহু সাধারণ যাত্রীও। জানা গিয়েছে, সকালের বৃষ্টিতে ওই শাখার সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। প্রথমে মধ্যমগ্রাম স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এরই সঙ্গে ওই শাখার অন্যান্য স্টেশনেও বৃষ্টির জেরে সিগন্যালিং সিস্টেমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে প্রায় সব স্টেশনেই সিগন্যালিং ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্টেশনে পরপর দাঁড়িয়ে যায় আপ ও ডাউনের একাধিক লোকাল ট্রেন। আতান্তরে পড়েন বহু যাত্রী। সকাল ৭টা ৪০ থেকে শিয়ালদহ—বনগাঁ শাখায় প্রায় ১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল কার্যত থমকে যায়। সপ্তাহের প্রথম দিন কিভাবে নির্দিষ্ট সময়ে অফিস পৌঁছোবেন তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন বহু যাত্রী। অনেকে ট্রেন না চলায় অফিসে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। সরকারি কর্মী লিপি পাল নন্দী জানান, ‘৭টা ৪০ এর শিয়ায়দহ যাওয়ার দত্তপুকুর লোকাল বারাসত থেকে প্রায় পৌনে ৯টায় ছেড়েছে। ৮টা পনেরোর বারাসত লোকাল, ৮টা পঁচিশের বনগাঁ—শিয়ালদহ মাতৃভূমি লোকাল তখনও বারাসাত থেকে ছাড়েনি। কেন এই দুর্ভোগ রেলের তরফ থেকে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমেও কিছু জানানো হয়নি। বহু অফিস যাত্রী এই ট্রেন বিভ্রাটের জেরে নাকাল হন। অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যান। আমরাও প্রায় ১ ঘণ্টা পরে অফিস পোঁছোই।’
আরও পড়ুন: মণিপুর নিয়ে মৌন মোদি, তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের
বেলায় পূর্ব রেলের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ (Sealdah-Bangaon) শাখায় সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেয়। সে কারণেই শিয়ালদহ—বনগাঁ শাখায় সকাল ৭টা ৪৮ থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এই কারণে ওই শাখায় ১৫টি ট্রেন গড়ে আধ ঘণ্টা করে দেরিতে চলে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, ‘সাড়ে ৮টার পর থেকে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’ যদিও যাত্রীদের দাবি এর থেকে অনেক বেশি সময় ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এরই সঙ্গে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রশ্ন কিছুক্ষণের বৃষ্টিতেই যদি ট্রেন চলাচলের এই অবস্থা হয় তাহলে ঘোর বর্ষায় সময়মতো ট্রেন চলাচল কিভাবে করবে? তাহলে রেলের রক্ষণাবেক্ষণর কাজই বা কেমন চলছে সেই প্রশ্ন তুলেও সরব হন যাত্রীরা।