প্রতিবেদন : কলকাতার ট্রামের (Kolkata Tram) সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে এক অন্যরকম ছবির সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা। শুক্রবার তার ১৫০তম জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষেই পরিবহণ দফতরের সহযোগিতায় রবিবার শহরে হল ট্রাম প্যারেড।
আর এই অভিনব প্যারেড দেখতে রবিবার শহরে উঠেছিল উদ্দীপনার ঢেউ। ভিড় জমেছিল মহানগরীর রাজপথের দু’পাশে। নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোয় পড়ে থাকা প্রায় ১০০ বছরের পুরনো ট্রামও দেখা গেল শহরের রাস্তায়। ভিক্টোরিয়ার সামনে ট্রামের জন্য ট্যুরিস্ট প্ল্যাটফর্মও তৈরি হয়েছে। দেড়শো বছরের ট্রামের বিবর্তন শহরবাসীকে দেখানো হয়েছে সাত-আটটি ট্রামের মাধ্যমে। গড়িয়াহাট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত এই ট্রাম প্যারেড চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যার নাম দেওয়া হয়েছে ট্রামযাত্রা (Kolkata Tram)। ২০২৫ সালে ট্রাম চালকদের সিংহভাগেরই কর্মজীবন শেষ হবে। তার আগে কলকাতার ট্রামের ১৫০ বছর উদযাপন করলেন তাঁরা। ট্রাম প্যারেডে অংশ নেওয়া চালকদের গলায় এদিন শোনা গেল মনখারাপের সুর। তাঁরা জানালেন, নতুন প্রজন্ম ট্রাম চালাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ট্রামের সংখ্যাও তাই অনেক কমে গিয়েছে। আমাদের অবসরের পর আর কোনও ট্রাম চালক থাকবেন কি না জানি না। ট্রামযাত্রার আর্টিস্টিক ডিরেক্টর মহাদেব শী জানিয়েছেন, ট্রামের দেড়শো বছর উপলক্ষে আমরা অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। প্রাচীন থেকে আধুনিক ট্রামের বিবর্তন ছিল এই ট্রাম প্যারেডের বিশেষ আকর্ষণ। কলকাতা হল এশিয়ার সেই শহর যেখানে প্রথম ট্রাম পরিষেবা শুরু হয়। সালটা ১৯৩০। তখন নাম ছিল জলের গাড়ি। ট্রাফিক পুলিশদের পানীয় জল পৌঁছে দিত এই ট্রাম। ১৮৭৩ সাল থেকে চালু হয় ঘোড়ায় টানা ট্রাম। এককথায় ট্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কলকাতার আবেগ।
ট্রাম প্যারেডে চালকদের গলায় মনখারাপের সুর
চলমান নস্টালজিয়ায় উদ্দীপনার ঢেউ