প্রতিবেদন : সমাজ ওঁদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। তাই ওঁরা নিজেরাই নিজেদের সমাজ তৈরি করে নিয়েছেন। তাঁদের লোক- লৌকিকতা সামাজিক অনুষ্ঠানও ওই গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর বাঙালির সমাজ থাকবে অথচ দুর্গাপুজো থাকবে না তা কি হয়? তাই এই শহরের বৃহন্নলা সমাজ, রূপান্তরকামী মানুষেরা নিজেরাই নিজেদের পুজো শুরু করেছেন আজ বছর পাঁচেক আগে।
আরও পড়ুন-লালদুর্গার কাছে প্রার্থনা করলে মেলে বর
জায়গা বদলে এখন সেই পুজোর ঠিকানা এখন পূর্ব কলকাতার ছিট কালিকাপুর এলাকায়। ছোট পুজো কিন্তু একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের করে দেওয়া বৃহন্নলা সম্প্রদায়ের ওই শেল্টারে পুজো আপাদমস্তক অভিনবত্বে মোড়া। এখানে শিব-শক্তি দশভুজা মূর্তিতে পূজিত হন অর্ধনারীশ্বর রূপে। বৃহন্নলা সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের অধিকার আন্দোলনের নেত্রী রঞ্জিতা সিনহা জানালেন, প্রতিপদ থেকে নবমী সবরকম আচার মেনে পুজো করা ছাড়াও নানা ভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুজোয় তাঁদেরকে সম্মান জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। অর্থের অভাব রয়েছে কিন্তু অভাব নেই আন্তরিকতার। তাই শুধু নিজেদের সম্প্রদায় বা আমন্ত্রিত অতিথি নন। যাঁরাই এই অভিনব পুজো দেখতে আসছেন তাঁদেরকেই সাদর আমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হচ্ছে ভোগ প্রসাদ। জীবনভরের অনাদর আর উপেক্ষার এভাবেই জবাব দিচ্ছেন তাঁরা।