প্রতিবেদন : ২০২০-এ প্রতিমা বিসর্জনে চমক দেখিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনী। পুজো প্রাঙ্গনেই হয়েছে বিসর্জন৷ সেই ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ বছর কলকাতা পুরসভা পরীক্ষামূলকভাবে হোস পাইপের মাধ্যমে গঙ্গার জলে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করেছে৷ দইঘাটে পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি হয়েছে এই ব্যবস্থা। নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে আশাবাদী কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন : করোনাকালের কর্তব্য
তবে দইঘাটের এই পদ্ধতির বিসর্জনকে এ বছরই বাধ্যতামূলক করছে না কলকাতা পুরসভা। এই ট্রায়াল সফল হলে, আগামী বছর সব ঘাটেই বিসর্জনের এই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করবে পুরসভা৷ প্রতি বছর বিসর্জনের সময়ই গুরুত্ব পায় গঙ্গা-দূষণের বিষয়টি। বিসর্জন যাতে কোনও ধরনের দূষণ না ঘটায়, সে জন্যে গত বছর অন্যরকম ভেবেছিল ত্রিধারা সম্মিলনী। মনোহর পুকুর রোডে মণ্ডপের অদূরে তৈরি হয়েছিল কৃত্রিম জলাধার৷ সেই জলাধারে ফায়ার ব্রিগেডের হোস পাইপের জলে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছিল। এ বছর এই পদ্ধতিকেই পরীক্ষামূলকভাবে নিতে চলছে কলকাতা পুরসভা। দইঘাটে জেটির উপর রাখা হয়েছে পাম্প। সেখান থেকে পাম্পের মাধ্যমে আনা হবে গঙ্গার জল। দইঘাটে তৈরি হয়েছে লোহা ও ইটের কাঠামো। সেখানে হোস পাইপের মাধ্যমে গঙ্গার জল দিয়ে প্রতিমার রং-মাটি ধুয়ে ফেলা হবে। সেই দূষিত জলকে শোধন করে আবার ফেলা হবে গঙ্গায়। আর ওখান থেকেই প্রতিমার কাঠামো নিয়ে যাওয়া হবে ধাপায়।
আরও পড়ুন : মণ্ডপ ছেড়ে দেবী আজ ভুবনজুড়ে
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার শুক্রবার জানিয়েছেন, বিসর্জনের চালু পদ্ধতিতে গঙ্গায় মিশছে রং ও সিসা৷ নতুন দূষণ ঘটাচ্ছে গঙ্গায়৷ ত্রিধারায় গতবছর ব্যতিক্রমী বিসর্জন হয়েছিল, ওখান থেকেই কনসেপ্ট এসেছে।