আধারকার্ড বাতিল নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ, ভোটে ইডির ভূমিকা কী, প্রশ্ন তৃণমূলের

নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত কমিটিতে ইডি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রতিনিধিদের সংখ্যাধিক্য তো একথাই প্রমাণ করছে।

Must read

প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনে ইডির ভূমিকা কী? নির্বাচন কমিশনে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে যে ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এবার লোকসভা নির্বাচনেও কী বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একই ভাবে ব্যবহার করবে বিজেপি? নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত কমিটিতে ইডি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রতিনিধিদের সংখ্যাধিক্য তো একথাই প্রমাণ করছে।

আরও পড়ুন-উলুবেড়িয়ার যানজটের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গড়ে উঠছে নয়া বাইপাস

তাঁদের দাবি রাজ্য থেকে উপযুক্ত সংখ্যায় প্রতিনিধি রাখতে হবে এই কমিটিতে। একতরফাভাবে হাজার-হাজার আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় এবং বাতিল করার বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালো তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, আইন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনেই বাতিল করা হচ্ছে আধার কার্ড। সোমবার রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের ৫ সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারক লিপি পেশ করে। তাতে সুস্পষ্ট ভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও রকম শুনানি বা উপযুক্ত তদন্ত ছাড়াই নির্বিচারে বাতিল অথবা নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে আধার কার্ড। এটা আধার আইনের পরিপন্থী। এবং স্বাভাবিক ন্যায়বিচারেরও পরিপন্থী। সুখেন্দুশেখর রায় জানালেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, আধার কার্ড ছাড়াও মানুষ ভোট দিতে পারবেন। ভোটার কার্ড-সহ আরও ১১টি ডকুমেন্ট রয়েছে। যে কোনও একটি দেখালেই ভোট দেওয়া যাবে। তৃণমূল ৫ সাংসদের প্রতিনিধি দলে সুখেন্দুশেখর রায় ছাড়াও ছিলেন দোলা সেন, সাজদা আহমেদ, প্রতিমা মণ্ডল এবং সাকেত গোখেল।

আরও পড়ুন-ব্রিগেডের সভা নিয়ে বৈঠকে কোর কমিটি

বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও এদিন নির্বাচন কমিশনের উদ্বেগ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদরা। চোপড়ার শিশুমৃত্যুর ঘটনার উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন বাহিনীকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে। ২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে নিরীহ ভোটারদের ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলি চালায় এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়। তৃণমূলের দাবি, সামনে লোকসভা নির্বাচনে বিএসএফ যেন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় রেখে কাজ করে।

Latest article