প্রতিবেদন : মেঘালয়ে বিজেপিকে হারাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC- Meghalaya)। মেঘের রাজ্যে দল ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সেখানে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ ভোট। তৃণমূল কংগ্রেস ৫টি আসনে জয়লাভ করেছে৷ মেঘালয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মুকুল সাংমা ও রাজ্য সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপ জয়ী হয়েছেন। এই জয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে মেঘালয়বাসীকে কুর্নিশ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। তবে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক বড় নেতা-মন্ত্রীকে প্রচারে নামিয়ে, রক কনসার্ট করেও মেঘালয়ে গো-হারা হেরেছে বিজেপি৷ মেঘালয়বাসী বিজেপির দ্বিচারিতা ও মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বিজেপিকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন। মেঘালয়বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আমরা ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমরা এখন মূল বিরোধী দল সেখানে। এরাজ্যে আমাদের ফল আরও ভাল হবে। কিছু কনফিউশন হয়েছে মেঘালয়তে। মেঘালয়ে আমরা আরও ভাল কাজ করব।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের সঙ্গে খেলেই নতুনরা শিখবে : হরমন
৬০ আসনে প্রার্থী দিয়ে মেঘালয়ে মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে বিজেপি। শতাংশের বিচারেও তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC- Meghalaya) থেকে অনেক পিছিয়ে তারা। মাত্র দেড় বছর আগে মেঘালয়ে পথচলা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ধীরে ধীরে দলের সংগঠন মজবুত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী দিনেও তৃণমূল কংগ্রেস এরাজ্যে মেঘালয়বাসীর জন্য অক্লান্ত ভাবে কাজ করে যাবে। সবসময় তাদের পাশে থাকতে বদ্ধপরিকর দল। স্পষ্ট বক্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে তিনি অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেঘালয়ে দলের প্রতিটি কর্মীকে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দলের জন্য সাংঘাতিক ‘প্যাশন’ ও ‘সিরিয়াসনেস’কে।
মেঘালয়ে দলের নেতা মুকুল সাংমা যেমন সোংসাক কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। তেমনই রাজ্য সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপ জিতেছেন নংথাইমাল থেকে। মুকুল সাংমার কন্যা মিয়ানি ডি শিরা জিতেছেন, আমপাতি কেন্দ্র থেকে। দাদেংরী থেকে জিতেছেন রূপা এম মারাক। ফল প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার মেঘালয়ে মুকুল সাংমার নেতৃত্বে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে মেঘালয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইনচার্জ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও। বৈঠকে নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ ও আগামী কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে দিনভর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন মানস ভুঁইয়া-মুকুল সাংমা-চার্লস পিনগ্রোপরা।