একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই কার্যত অশনি সংকেতের সামনে পদ্মশিবির। দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে তারা। একের পর এক নেতা ও বিধায়ক দল ছেড়েছেন। সেই ভাঙন এখনও অব্যাহত।
যতই দিন যাচ্ছে, গেরুয়া পরিবারে ততই ধস নামছে। এবার বীরভূম জেলার বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি হাতে তুলে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের পুরো জেলা কমিটি ও ৪৮ জন সংখ্যালঘু ‘মণ্ডল সভাপতি’-সহ কয়েক হাজার অনুগামী নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি সামাদ শেখ।
আরও পড়ুন – জেরা নয়, ব্যাগভর্তি খাবার নিয়ে দুয়ারে পুলিশ
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কার্যালয়ে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তর ও বস্ত্র মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। এদিনই সামাদ শেখকে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সংখ্যালঘু সেলের জেলা সম্পাদক পদে নিযুক্ত করেন অনুব্রত।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকেই সামাদ শেখের নেতৃত্বে বোলপুর ও লাভপুর বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকাতে বিজেপি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষের কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা পৌঁছে দিতে রাজ্য নেতৃত্ব সামাদকে সামনে এনেছিল।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সামাদ জানান, “বিজেপিতে এখন পুরনো লোকদের কোনও সম্মান নেই। রাজ্যের মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, রাজ্যের উন্নয়নে তাঁর কোন বিকল্প নেই। তাই সেই উন্নয়নে সামিল হতেই আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম।” এপ্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মানুষকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। ওখানে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নে শামিল হতেই সবাই এখন তৃণমূলে আসতে চাইছে।”
আগামী দিনে কারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চলেছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে এই মুহূর্তে কোন উত্তর দিতে চাননি অনুব্রত। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই জানানো হবে। তবে আগামী দিনে বিজেপিতে যে ফের ধস নামতে চলেছে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন অনুব্রত।
অন্যদিকে, রবিবার সকালে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে প্রায় শতাধিক দলীয় কর্মী ও নেতা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। রবিবার রামপুরহাটে রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা স্থানীয় বিধায়ক অধ্যাপক আশিস বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগদান করেন তাঁরা।