খুব বেশি সময় নয় মাত্র ১ বছর আগেও মেঘালয়ে(Meghalaya) সেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কোনরকম সংগঠনই ছিল না । কিন্তু এর মধ্যেই জায়গায় জায়গায় সংগঠন বৃদ্ধি ও মানুষের স্বতস্ফূর্ত ভালোবাসায় ফুলেফেঁপে উঠেছে জোড়াফুল। ট্যুরিজম নির্ভর অর্থনীতির রাজ্য মেঘালয়ে নির্বাচন আর দেরি নেই। নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে সব রাজনৈতিক দল। ব্যাতিক্রমী যে তৃণমূল সেটা বলার নয়। ঘাসফুল শিবিরের একের পর এক জনসভায় উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। সাম্প্রতিক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) জনসভায় সেই ছবি আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।
আরও পড়ুন-প্রয়াত ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার তুলসাদীস বলরাম, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
নির্বাচনী প্রচারে বর্তমানে মেঘালয়ে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে একের পর এক কর্মসূচী ও জনসভা করছেন তিনি। অভিষেকের এই জনসভায় যতদূর চোখ যায় সেখানে শুধুই তৃণমূলের পতাকা হাতে মানুষের ভিড়। বুধবার তুরায় পদযাত্রা ও জনসভার পর। বৃহস্পতিবার গারো পাহাড়ে অভিষেকের জনসভায় দেখা গেল একই ছবি। সভামঞ্চ থেকে যতদূর চোখ যায় দেখা যাচ্ছে নতুন মেঘালয়ের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন কাতারে কাতারে মানুষ। মেঘালয়ে তৃণমূলের প্রতি মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে রাজনৈতিক মহলের অনুমান পরিবর্তনের অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে মেঘালয়ে। মানুষের ভিড়ের ছবিই কার্যত বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলার পর দ্বিতীয় কোনও রাজ্যে শাসকের আসনে পা রাখতে চলেছে ঘাসের উপর জোড়াফুল।
আরও পড়ুন-২ জেলায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর, দেখে নিন তালিকা
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি ও এনপিপির জোট সরকারকে উৎখাত করতে মেঘালয়বাসীকে নতুন ভিশন দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে রয়েছে বাংলার মতো উন্নয়ন, My Card, We Card এর মতো একের পর এক সামাজিক প্রকল্প। মেঘালয়বাসীর হৃদয়ে তৃণমূল স্বপ্ন বুনেছে দিল্লি ও অসমের কথায় ওঠবস করা পুতুল সরকার নয়, মেঘালয় তার গৌরব ফিরে পাবে। মেঘালয়ে এমন এক ভূমিপুত্র রাজ্য চালাবেন যে মথা নত করে নয় নিজেদের অধিকার দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনবে। জায়গায় জায়গায় গিয়ে মানুষের কাছে এই কথাই বলছেন, মমতা, অভিষেক, মুকুল সাংমারা। যেখানে উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে বাংলার। আর সেই পথে নতুন মেঘালয়ের স্বপ্ন বুকে নিয়ে তৃণমূলের জনসভায় ভিড় জমাচ্ছেন মেঘ রাজ্যের বাসিন্দারা।