৩১ মার্চের মধ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী থাকছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) দলকে সর্বভারতীয় পরিকাঠামো দিতে হতে পারে কিছু রদবদল। তবে এবিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এমন দু’একটি বিষয় রটেছে, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। নির্বাচন কমিশনের নিয়মনীতি মেনে সাংগঠনিক নির্বাচনপর্ব শেষ করতে দলের শীর্ষনেতৃত্ব এই মুহূর্তে নিচ্ছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
এর মধ্যেই মদন মিত্র (Madan Mitra) হঠাৎ দু-তিনদিন ধরে শীর্ষনেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। এমনকী শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও (Partha Chatterjee) কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মদন। দল এই নিয়ে কিছু অস্বস্তিতে থাকলেও এনিয়ে পালটা কিছু বলে মদনকে অকারণ গুরুত্ব দেবে কি না, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন কড়াভাবে মদন মিত্রকে বলেন, দলকে বিব্রত করা কোনওরকম বিবৃতি বরদাস্ত করা হবে না। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরে মদন মিত্র বেশি অসংলগ্ন কথা কিছু মন্তব্য করেননি তবে এরপরই মদনের কিছু বিতর্কিত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি পুরপিতা সজল ঘোষ। এর মধ্যেই শ্রীরামপুর এলাকায় কিছু পোস্টার নিয়ে সামান্য জলঘোলা হয়, সঙ্গে নজরে আসে উত্তর কলকাতার পোস্তায় একটি ক্লাবের ব্যানারে করোনা রুখতে ডায়মন্ডহারবার মডেল চালুর দাবি।
তবে তৃণমূলের বক্তব্য, দল ঠিকঠাক আছে। দল এখন অনেক বড়। চলার পথে দুএকটি দ্বিমত সর্বত্র হয়। কিন্তু তাই বলে দলের মূল আধার আদৌ বিঘ্নিত হয় না। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) দু’দিন আগেই বিজেপির অমিত মালব্যের টুইটের জবাবে পালটা বিজেপির গোষ্ঠীবাজিকে আক্রমণ করে লিখেছেন, “তৃণমূল একটি বৃহৎ সুখী পরিবার যেখানে স্বাভাবিক জীবনের প্রতিটি স্পন্দন বিরাজমান।” এর মধ্যে ফেসবুকে একটি পোস্ট নজরে আসে, যেখানে তৃণমূলকর্মীদের মনের কথা বলার হেল্পলাইন চালুর কথাও বলা হয়েছে। তবে দলের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয় যে এই ধরনের কোনও হেল্পলাইন দল চালু করেনি। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। দলীয় সূত্রে খবর, আসন্ন পুরভোটের এলাকাগুলিতে তৃণমূল প্রার্থীরা বিধি মেনে জনসংযোগ চালাচ্ছেন। মানুষের সাড়া খুব ভাল।