প্রতিবেদন : বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের হেলিকপ্টারে আয়কর দফতরের তল্লাশির নামে হুমকি এবং গা-জোয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে, আইনত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্পষ্ট জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee)। তিনি বলেন আগামী দু’এক দিনের মধ্যে হাইকোর্টে যাবো। সিসিটিভি ফুটেজ এয়ারপোর্টস অথোরিটির কাছে আছে। সেই ফুটেজ আমরা দেব। সোমবার তমলুকে দলীয় বৈঠকের শেষে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট ভাষায় বলেন, তল্লাশিতে আমাদের আপত্তি নেই। সারা বছরই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কখনও সিবিআই-ইডি, কখনও এনআইএ, কখনও আয়কর দফতর। কিন্তু আমাদের প্রতিবাদ হল অন্য জায়গায়। অভিষেক স্পষ্টভাবে জানান, তল্লাশির সময় তাঁর নিরাপত্তা কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং গোটা তল্লাশির ভিডিও করার কারণে ফোন কেড়ে নিয়ে তা ডিলিট করা হয়েছে। এই ডিলিট করার অধিকার আয়কর দফতরের নেই। শুধু তাই নয়, এমনকী আয়কর দফতর জানায় যতক্ষণ না উপর থেকে নির্দেশ আসবে ততক্ষণ ট্রায়াল রান করা যাবে না। পাশাপাশি তমলুকের দলীয় বৈঠক নিয়ে অভিষেক বলেন, আমাদের কিছু দলীয় সমস্যা ছিল, তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে। ২০২১-এ তৃণমূল কংগ্রেস যে ফল করেছিল এবারে তার থেকে অনেক ভাল ফল করবে।
আরও পড়ুন- অন্যদের যাঁরা ভোট দিতেন, তাঁরা এবার তৃণমূলকেই দেবেন, জলপাইগুড়িতে প্রার্থীকে নিয়ে কুণাল-জয়প্রকাশ
অভিষেকের (Abhishek banerjee) অভিযোগ, এই অধিকার আয়কর দফতরের নেই। তারা সীমা লঙ্ঘন করেছে। সব থেকে বড় বিষয় হল, হেলিকপ্টার থেকে দশটা পয়সাও পাওয়া যায়নি। তাহলে কেন এই পদক্ষেপ? তাই কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আইনি পদক্ষেপও করা হবে। এদিন ফের অভিষেক বলেন, একমাস পেরিয়ে গেলেও বিজেপির হিম্মত হয়নি বাংলাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে তাঁর শ্বেতপত্র প্রকাশ করার। মিথ্যাচারের রাজনীতি চলছে। উত্তরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় নাকি? এত মানুষের বাড়ি ঘর ধুলোয় মিশে গিয়েছে, তাঁরা থাকবেন কোথায়? মিথ্যে ট্যুইট করছে গদ্দাররা। নির্ধারিত যে আইন রয়েছে সে অর্থে মানুষের বাড়ি তৈরি হত না। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে অভিষেকের মন্তব্য, ওঁর সম্পর্কে যত কম বলা যায় তত ভাল। আমরা বিচার ব্যবস্থার একাংশের সম্বন্ধে যে অভিযোগ করতাম তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। আমরা শুধু বলতে পারি, থ্যাঙ্ক ইউ।