লোকসভা নির্বাচনের (Lok sabha election) প্রথম দফায় রাজ্যে তিনে তিন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নিশ্চিত তৃণমূল শিবির। আলিপুরদুয়ারের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে বুধবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আগামিকাল বৃহস্পতিবার উত্তরের তিন লোকসভা কেন্দ্র কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ। এদিন আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইককে পাশে বসিয়ে কুণাল বলেন, যেভাবে কর্মীরা প্রচার করেছেন তাতে আমরা আত্মবিশ্বাসী ও নিশ্চিত তিনটি আসনেই তৃণমূল জিততে চলেছে। এখন যা রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ এবং আমাদের যা সাংগঠনিক অবস্থা তাতে নির্বাচনের (Lok sabha election) দিন বিকেলে কর্মীদের শরীরী ভাষাই বলে দেবে আমাদের তিন প্রার্থীর জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, দুটো সরকারের তুলনা করছেন মানুষ। একটা সরকার পেট্রোল, ডিজেল, খাদ্যসামগ্রী, জীবনদায়ী ওষুধ থেকে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আমাদের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বিনামূল্যে রেশন, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, জল, আলো, কর্মসংস্থানের মতো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প নিয়ে এসেছে। দুটো সরকারের মধ্যে পাঁচশো টাকার তফাত। মোদি সরকার পাঁচশো টাকা বাড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও পাঁচশো টাকা বাড়িয়েছে। তফাত একটাই, মোদি সরকার রান্নার গ্যাসে বাড়িয়েছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বাড়িয়েছে। এখানেই প্রমাণিত দুটো সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি। ফলে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা এটা প্রমাণিত। এরপরই চা-বাগান নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেন কুণাল। বলেন, চা-বাগান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি। কিন্তু চা-বাগানের শ্রমিকদের বেতন থেকে শুরু করে সামাজিক কল্যাণ, সব নিয়ে তাঁদের পাশে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই নিয়ে কাজ করছেন আপনাদের পাশের বাড়ির ছেলে প্রকাশচিক বরাইক। রাজবংশীদের বারবার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি সরকার। এরপরই বিজেপির একের এক মিথ্যে প্রতিশ্রুতির তালিকা তুলে ধরেন কুণাল। বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী মাদারিহাটের জনসভায় বলেছিলেন রুগ্ন চা-বাগান আধিগ্রহণ করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা চা-বাগানও অধিগ্রহণ করেনি। ২০১৯ সালে অমিত শাহ বলেছিলেন রাজবংশী ভাষাকে অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেটাও হয়নি। নারায়ণী ব্যাটেলিয়নও গঠন করা হয়নি। ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চানন বর্মা মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। সেটাও হয়নি। প্রতিশ্রুতিমতো আলিপুরদুয়ারে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও হয়নি। এভাবে শুধুই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের কোচবিহার সফরে বারণ কমিশনের