কলকাতা পুরভোটের শেষবেলার প্রচারে দক্ষিণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কলকাতার ১৪৪ টি আসনের মধ্যে ১৩৫টিই পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের (Tmc) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বার্তায় খুব স্বাভাবিকভাবেই অনুপ্রাণিত হলেন নেতা-কর্মী-প্রার্থী-সমর্থকরা। শুক্রবার, বালিগঞ্জ থেকে কালীঘাট পর্যন্ত রোড শো করেন অভিষেক। মহামিছিলের শেষে কালীঘাটে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তৃণমূলের (প্রার্থীদের জয়ী করলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের দ্রুত সুবিধা পাওয়া। “কলকাতা পুরভোটে ১৩৫টার বেশি আসন পেয়ে জয়ী হবে তৃণমূল, মিলিয়ে নেবেন।”
আরও পড়ুন-কারও জন্য দল বিন্দুমাত্র কলুষিত হলে তাঁকে বহিষ্কার স্পষ্ট জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন অভিষেকের নিশানায় ছিল বিজেপি। একইসঙ্গে বাম এবং কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ২০১০ এর আগের কলকাতা আর এখনকার কলকাতার অনেক ফারাক। “চকচকে রাস্তা-ঝকঝকে আলো, বাংলার মানুষ বলছে তৃণমূল ভালো”। ভারতের মানচিত্রে কলকাতাকে সর্বশ্রেষ্ঠ করার জন্যই এই নির্বাচন বলে মন্তব্য অভিষেক। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির একটা-দুটো আবর্জনা আছে, তাদের জামানত জব্দ হবে। “বিজেপিকে ১০-০ গোল দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেব।” বিজেপি বসন্তের কোকিলের মতো আসে আর ভোট হয়ে গেলে চলে যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারাবছর মানুষের পাশে থাকেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। বলেন, ভোকাট্টা করে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বাংলা থেকে বিদায় করতে হবে। “বিজেপির মত দুনম্বরি দল সারাদেশে আর নেই”। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজ্যকে উত্তরপ্রদেশ করতে চেয়েছিল বিজেপি। এদিকে, “লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরেছে মন্ত্রীর ছেলে। আপনারা কি চান?” তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের। বলেন, “বাংলা বাংলাই থাকবে। উত্তর প্রদেশ হবে না।”
আরও পড়ুন-পুর প্রচারে প্রণবপুত্র অভিজিৎ বিজেপি পরাজিত দিদির রাজ্যে
এরপরই কলকাতা দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর (Unesco) স্বীকৃতির প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির (Bjp) বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তিনি বলেন, এটা বাংলার বিশ্বের দরবারে বাংলার স্বীকৃতি। “যাঁরা বলেছিলেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, তাঁরা দেখুন দুর্গাপুজোর বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছে।”
২০২৪-এ বিজেপিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার যদি কেউ প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাহলে সেটা কংগ্রেস নয়, তৃণমূলই পারবে। স্পষ্ট ঘোষণা অভিষেকের।
আরও পড়ুন-কলকাতায় ১৩৫টার বেশি আসন পেয়ে জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেস, আত্মবিশ্বাসী অভিষেক
গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠনের প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, গোয়ায় হয় তৃণমূল সরকার গড়বে, নয় প্রধান প্রতিপক্ষ হবে। কলকাতায় পুরো ভোটের প্রচারে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালায় বিজেপি তার মোক্ষম জবাব দেন অভিষেক। বলেন, ত্রিপুরায় বারবার আক্রান্ত হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। আর এখানে বিরোধীরা প্রচার করছে।
অভিষেকের রোডশো এবং প্রচারে তৃণমূল উন্মাদনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একজন লোক দেখতে রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষা করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। যা দেখে অভিষেক বলেন, “আপনাদের সমর্থনে আমি আপ্লুত”।