প্রতিবেদন: ময়নায় নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া হত্যা মামলার তদন্তের আওতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আনার দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বিজয়কৃষ্ণের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে এসে পৌঁছল। তমলুক হাসপাতালের মর্গ থেকে কড়া পুলিশি পাহারায় কলকাতায় আনা হয়। এই ঘটনায় মিলন ভৌমিক নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন-বাঁধ-মেরামতি দেখে গেলেন মন্ত্রী
পাশাপাশি বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, আগামী চার সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে নিহত বিজয়কৃষ্ণের পরিবার। সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
বিজয়কৃষ্ণের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল রাজ্য সভাপতি ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন বিরোধী দলনেতার দিকে। তাঁকে তদন্তের আওতায় আনার দাবিও জানান।
আরও পড়ুন-সুন্দরবনের ব্লকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি জেলা প্রশাসন
বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু কেউ কেউ প্রকৃত ঘটনা সামনে আসার আগেই তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে, সিবিআই চাইছে। তাই এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী আন্ডার কারেন্ট আছে রাজ্য পুলিশের কাছে তা দেখার অনুরোধ করেন কুণাল। একটি ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলে ওঁর যু্ক্তি, শুভেন্দু যখন তৃণমূলের নেতা, তখন ময়নায় এক সভায় ক’টা নাম বলেন, তাদের মধ্যে বিজয়কৃষ্ণের নামও ছিল। শুভেন্দু বলেন, ওদের ব্লিচিং দিয়ে সাফ করতে হবে। ওঁর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, এটা আদি বিজেপি বনাম তৎকাল বিজেপির লড়াই হতে পারে। ২০২০ সালে বিজয়কৃষ্ণের বাড়ি থেকে বোমার মশলা উদ্ধার এবং এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগের প্রসঙ্গও টানেন।