প্রতিবেদন : ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল” এই নাম দিয়ে ২১অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি হবে ত্রিপুরায়। ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। বিকেল ৫ টা থেকে ৬.৪০ পর্যন্ত দেড় ঘন্টারও বেশি সময়ের বৈঠকে একাধিক নির্দেশ ও বার্তা।
ত্রিপুরার পুরভোটে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ অক্টোবর থেকে টানা কর্মসূচিতে থাকবে দল। ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল। নভেম্বরে ত্রিপুরা যাবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ডিসেম্বরে যাবেন দলনেত্রী। ত্রিপুরায় পুরভোটে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। নভেম্বর ত্রিপুরা যাবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ডিসেম্বরে যাবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার পুরভোটকে সামনে রেখে দলকে এখন থেকেই তৈরি হতে বললেন অভিষেক। শুক্রবার ত্রিপুরায় দলের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকেই ২১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরায় জেলা ভিত্তিক কর্মসূচি করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সদ্য গঠন করা ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটি এবং যুব কমিটির সদস্যদের তিনটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়ছে। এক একটি দলে ১০ জন করে রয়েছেন। এই তিনটি দল ২১ অক্টোবর থেকে ত্রিপুরার সব জেলায় কর্মীসভা, পথসভা, ছোট আকারে মিছিল, এছাড়াও হাটে-বাজারে-বাড়িতে জনসংযোগ কর্মসূচি করবে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল।
আরও পড়ুন : নেশনস লিগ ফাইনালে স্পেন বনাম ফ্রান্স
ত্রিপুরায় নগর পঞ্চায়েত, পুরপরিষদ ও কর্পোরেশন নির্বাচন বাকি রয়েছে। এগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও কোনওটিরই নির্বাচন করায়নি ত্রিপুরার বিজেপি সরকার।
নভেম্বর- ডিসেম্বর মাসে সম্ভাব্য নির্বাচন হবে ধরে নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দল। এদিন বৈঠকের শুরুতেই ত্রিপুরায় দলের নেতাদের সাধুবাদ জানান অভিষেক। গত কয়কমাসে যেভাবে দলের নেতা-কর্মীরা ত্রিপুরার শাসক দলের লাল চোখ উপেক্ষা করে। হামলা- মামলা সহ্য করে দলের সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন তা প্রশংসা করার মতোই বলে জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কথায়, গত কয়েকমাসে প্রায় ৭৫০০০ মানুষ বিভিন্ন দল থেকে তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এটা ভালো দিক। তবে সংগঠনকে আরও শক্তিশালি করতে হবে বলে তাঁর সংযোজন, ২০২৩ এ ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন অভিষেক বৈঠকে বলেছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বেই আমরা সবাই লড়ছি। তিনিই সবার উপরে। বাকি আমরা সবাই একসঙ্গে। এখানে কেউ কারও ওপরে নয়।
বৈঠক শষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন—
“আমরা শুনেছি ওই মাভৈঃ মাভৈঃ মাভৈঃ…” বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের শাসনকালে ত্রিপুরার মাটিতে চূড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে। ত্রিপুরাবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার লুণ্ঠিত, সংবাদমাধ্যমের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ চালানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ১৪৪ ধারা জারি করে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি বন্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপির দুর্বৃত্তদের জেনে রাখা দরকার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পদ নেত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ ও কর্মীদের লড়াইয়ের স্পৃহা। তাই কণ্ঠরোধের যত চেষ্টা চালাবে বিজেপি, ততই তীব্রতর হবে প্রতিবাদের ভাষা। ত্রিপুরাবাসীর চোখে স্বৈরাচারী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বিভেদকামী বিজেপিকে উৎখাত করার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা মরণপণ সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত। আগামীদিনে ত্রিপুরার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করবে মা-মাটি-মানুষের দল তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্গোৎসবের শুভ সূচনালগ্নে আপামর ত্রিপুরাবাসীকে জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। শুভশক্তির স্নেহাশিসে সবার জীবন হয়ে উঠুক আনন্দমুখর।এদিন বিকেল ৫ টায় কলকাতা থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আগরতলা থেকে ছিলেন, দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিং সহ সব সদস্যরা। ছিলেন ত্রিপুরা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক বাপটু চক্রবর্তী সহ কমিটির বাকিরা।
বৈঠকে সুবল ভৌমিক ত্রিপুরার ভোটার তালিকা সংশোধন সহ একাধিক বিষয় দলের সামনে রাখেন। সাংসদ সুস্মিতা দেব শিলচর থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন ত্রিপুরার আরএক প্রবীণ নেতা আশিসলাল সিংও। দলের যুবনেতারাও বৈঠকে ছিলেন।