প্রতিবেদন : রাহুল গান্ধী ইস্যুতে (Rahul Gandhi Issue) সোমবার থেকেই উত্তাল হল সংসদের দুই কক্ষ। সোমবার সভা শুরু হতেই আদানি ইস্যুতে তদন্তের দাবিতে কয়েক মিনিটের মধ্যে স্থগিত হয়, তারপর ফের বিকেল চারটের সময় সভা শুরু হলে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই দিনের মতো স্থগিত হয়ে যায় লোকসভার কাজ। একই ভাবে প্রথমে দুটো পর্যন্ত তারপর সারাদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যায় রাজ্যসভার কাজ। দুই কক্ষেই বিরোধী পক্ষের তরফে আওয়াজ তোলা হয় রাহুল গান্ধী ইস্যুতে (Rahul Gandhi Issue)। এদিন রাহুল ইস্যুতে কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৯ মার্চ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কলকাতায় আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ৪৮ ঘণ্টার ধরনায় বসবেন, ওই একই সময়ে দিল্লিতে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সব সাংসদ। সোমবার দলনেত্রীর এই নির্দেশ তৃণমূল সাংসদদের বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা বৈঠক শেষে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা এই ইস্যুতে গণতন্ত্র বাঁচানোর লক্ষ্যে কংগ্রেসের পাশে আছি। পরবর্তী আন্দোলন কোন পথে হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এখানে।
আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের বোনাস বাড়ল
জানা গিয়েছে, সকালের বৈঠকে তৃণমূল যোগ দেওয়ায় খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব। ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাদরে মিছিলের মাঝে নিয়ে যান জয়রাম রমেশ। এমনকী, মিছিলের সামনের সারিতে ব্যানার হাতে দেখা যায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিজয় ছক পর্যন্ত মিছিল করে বিরোধীরা। তাদের হাতে ছিল ‘সত্যমেব জয়তে’ লেখা ব্যানার-পোস্টার। আগামী আন্দোলন কর্মসূচি ঠিক করতে সোমবারই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফের বৈঠক হয় মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে। একটি নৈশভোজের আয়োজনও করা হয়েছিল। এই বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।