প্রতিবেদন : আগামিকাল অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর নিজের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিধানসভা কেন্দ্রের সব পুরপিতা ও দলের সব স্তরের পদাধিকারী-কর্মী-সমর্থকরাও উপস্থিত থাকবেন। কয়েকজন সাংসদও থাকবেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটেয় ‘উত্তীর্ণ’তে হবে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন-টেট পাশ মানেই চাকরি নয়, স্পষ্ট বার্তা গৌতমের
পুজোর আগেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য জুড়ে বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে ৫০০-র বেশি সভা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর সভায় উপস্থিত থেকে যে বার্তা দেবেন তা ছড়িয়ে পড়বে গোটা রাজ্যে। একইসঙ্গে রাজ্য জুড়ে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে এই ধরনের সম্মিলনীর গুরুত্বও বাড়বে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ‘উত্তীর্ণ’তে গিয়ে সব প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখেই সবটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-কোর্টে মুখ পুড়ল ইডির
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজয়া সম্মিলনীর এই সভাগুলিই সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের জনসংযোগের কাজ করবে। প্রতি জেলাতেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হচ্ছে। এরপর রাজ্যের সবক’টি পুরসভা-কর্পোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড এবং রাজ্যের সবক’টি ব্লকেই হবে বিজয়া সম্মিলনী। বিজয়ার মিষ্টিমুখের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে আলোচনায় উঠে আসবে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ, আর্থিক বরাদ্দ তো দূরের কথা, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি সরকার। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। এই বিষয়গুলিও জনতার দরবারে তুলে ধরা হবে। এর সঙ্গে থাকবে রাজ্য সরকারের প্রভূত উন্নয়নের খতিয়ান। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সভাগুলিই হয়ে উঠবে একপ্রকার পঞ্চায়েতের প্রস্তুতির মহড়া। শুধু জেলা নেতৃত্বই নয়, রাজ্যস্তরের নেতা-নেত্রীরাও জেলায় জেলায় যাবেন বিজয়া সম্মেলনীর সভায়।