সংবাদদাতা, ক্যানিং : দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি মহরম শেখকে গুলি করে খুন করল একদল দুষ্কৃতী। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি মাথায় ও দুটি গুলি লাগে মহরমের শরীরে।
আরও পড়ুন-করোনায় মৃত পরিবারের পাশে রাজ্য
গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ভোর রাতে সেখানে মৃত্যু হয় যুব নেতার। মাস ছয়েক আগেও তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। তখন পায়ে গুলি করা হয়েছিল। এই খুনে এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী জড়িত বলে নিহতের স্ত্রী দাবি করেছেন। স্ত্রী আরও দাবি করেছেন, কিছুদিন আগে থেকে খুনের আশঙ্কা করছিলেন তাঁর স্বামী।
আরও পড়ুন-শীতের সঙ্গে বৃষ্টি
ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকা থমথমে। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। এর নেপথ্যে কোনও রাজনীতি আছে কি না তা দেখতে হবে। নিহত নেতা পরোপকারী। এলাকার মানুষজন ভালোবাসতেন। সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। রাত থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ নিহত নেতার পরিবারের পাশে আছেন। রাত থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷ পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন আছে। খুনিরা একটি অটোতে চেপে এসেছিল।
আরও পড়ুন-অডিও ক্লিপ যাঁর, তিনিই এখন চুপ
নিহত নেতার বাড়ির বাইরের সিসিটিভিতে সেই ছবি ধরা পড়েছে। এই খুনে ভাড়াটে খুনিদের ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন বারুইপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু। রবিবার সকালে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস নিহত নেতার বাড়িতে আসেন। পরিবারকে সমবেদনা জানান। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন বিধায়ক। নিহত নেতা বিধায়কের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, মহরম দলের একনিষ্ঠ সৈনিক ছিলেন। যুবর সভাপতি ছিলেন। এই খুনে যারাই জড়িত থাকুক পুলিশকে দ্রুত গ্রেফতারের আবেদন রাখছি। ওর পরিবারের পাশে আছে দল। ওর সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেব আমরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ক্যানিং থানার পুলিশ ইতিমধ্যে ১১ জনকে আটক করেছে।