প্রতিবেদন : ১৯৬১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। পর্তুগিজ শাসনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল গোয়া। দিনটি গোয়ায় পালিত হয় ‘গোয়া লিবারেশন ডে’ হিসাবে। এটি গোয়ার ৬০তম স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বীপরাজ্যে আরও একবার ভোর আনার বার্তা দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে ভুয়ো টিকার অভিযোগ
আজ থেকে ৬০ বছর আগে পর্তুগিজ শাসনের হাত থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ভোর এনেছিলেন তৎকালীন গোয়ার যোদ্ধারা। ভেঙেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল। আজ ২০২১ সালে আবারও একবার মুক্তির খোঁজ করছে সেখানকার সাধারণ মানুষ। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই নতুন ভোরের স্বাদ গোয়ার মানুষকে দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই রাজ্যের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা, গোয়ার স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রণাম জানাই।
এবার আমরা সবাই মিলে গোয়ায় আনব আবারও এও নতুন ভোর। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মানুষকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গোয়ার সকল ভাই, বোনকে জানাই শুভেচ্ছা। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জানাই প্রণাম। এই উপলক্ষে আসুন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে গোয়ায় নতুন ভোর আনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হই।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ভারত ইংরেজদের শাসন থেকে স্বাধীন হয়ে গেলেও গোয়া নতুন করে দখল করে বসে পর্তুগিজরা। আসলে ইংরেজরাই ষড়যন্ত্র করে গোয়াকে পর্তুগিজদের হাতে তুলে দিয়েছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু অনেকবার পর্তুগিজদের গোয়া ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালেও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে ১৯৬১ সালে স্থল, বায়ু ও নৌবাহিনী নিয়ে গোয়ায় অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। দ্বীপরাজ্যকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে সেনা।
চাপের মুখে ১৯ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে তৎকালীন পর্তুগিজ গভর্নর ম্যানু বাসেলো ডি সিলভা ভারতের গোয়া সমর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। এরই সঙ্গে গোয়া-দমন-দিউতে পর্তুগিজদের ৪৫১ বছরের পুরনো উপনিবেশিক শাসন শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর ১৯৬২ সালে দয়ানন্দ ভাণ্ডারকর হন গোয়ার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।