সংবাদদাতা, বিরাটি : ‘মণিপুরের ন্যক্কারজনক ঘটনার কোনও প্রতিকার কেন্দ্রের সরকার করেনি। ৪ মে ঘটনার ৭৮ দিন পরে সংসদের বাইরে ৩৬ সেকেন্ডের একটা বিবৃতি দিয়েছেন মাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের সরকার চুপ থেকে মহিলাদের হিম্মতকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস পথে নেমেছে।’
আরও পড়ুন-আজ থেকে বীরভূম জুড়ে রাজ্যের উদ্যোগে শুরু সমাধান, শিল্পোদ্যোগীদের দুয়ারে এমএসএমই শিবির
এই কথা বলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রবিবার দুপুরে উত্তর দমদম পুরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের উড়ালপুলের নিচে তাঁর উদ্যোগে দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের মহিলা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা হাতে কালো কাপড় বেঁধে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদী শপথ ও প্রতীকী মিছিল করে একে অপরের সঙ্গে দৃঢ় সংকল্পে ঐক্যবদ্ধ হলেন। মন্ত্রী শপথবাক্য পাঠ করান মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের। বলেন, ‘আমরা মহিলারা ঐক্যবদ্ধ। মণিপুরে মহিলাদের উপর নির্মম নির্যাতনের বিহিত চাই। প্রধানমন্ত্রীর মৌনতার জবাব চাই। সংসদে তাঁর বিবৃতির দাবি করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে। মেয়েদের আছে হিন্মত। জোটবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চলবে এই আমাদের শপথ।’ মোদি সরকার পদক্ষেপ না নিলে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে শপথ নেন মহিলারা।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপির কেউ আঘাত পেলে সেটা দেখতে যেমন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যাচ্ছে, তেমনি তৃণমূল কর্মীরা মারা গেলে সেটারও তো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী বামনগোলার ঘটনায় পুলিশকে শোকজ করেছেন আপনারা জানেন। মণিপুরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ করেছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে বলছি না, একজন মহিলা হিসেবে বলছি, বিজেপি বা সিপিএমের কোনও মহিলা এইভাবে অত্যাচারিত বা ধর্ষিত হলেও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদে সোচ্চার হবে।’ প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মোদিজি মনে রেখো যে হাতে দোলনা দোলায় সেটা কিন্তু দুর্বল মনে করো না। মোদিজি রিমেম্বার ইট। মণিপুরের পর উত্তরপ্রদেশের মীরাটের একই ঘটনার জন্য ধিক্কার জানাই। প্রধানমন্ত্রী মূক ও বধির। মন কি বাত শোনেন না। ধৈর্য-ইচ্ছা নেই।’ প্রতিবাদ মিছিল ও শপথ গ্রহণের সভায় ছিলেন উত্তর দমদম ও নিউ বারাকপুরের পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস ও প্রবীর সাহা, উপপ্রধান লোপামুদ্রা দত্ত চৌধুরী, স্বপ্না বিশ্বাস-সহ দুই পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলররা।