প্রতিবেদন : টেটের চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা নিয়ে সারাদিন ধরে বিরোধীদের নাটক ও মিডিয়ার একাংশের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুৎসা দেখল বাংলা। মূল ইস্যু থেকে সরে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে চক্রান্ত করেছে বিরোধীরা। যার ফাঁদে ভুল করে পা দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিরোধীদের উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনকারীদের আবেগ ও আন্দোলনের মঞ্চকে ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলা। কিন্তু যথাসময়ে যথোচিত পুলিশি তৎপরতার কারণে বিরোধীদের শূন্য হাতে সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস একদিকে বিরোধীদের এই আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করেছে, একই সঙ্গে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে কুৎসার বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে তার যথাযথ জবাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন-ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি বিদ্যুৎ দফতর
বাম আমলে সিপিএম কীভাবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূরি ভূরি মানুষ ঢুকিয়েছে তা বাংলার মানুষ জানেন। তাদের মধ্যে কতজন যোগ্য এবং কতজন অযোগ্য তা তারা নিজেরা জানে। ঠগ বাঁচতে গা উজাড় হয়ে যাবে। এবিটিএ মনে পড়ে কমরেড? যে সংগঠন না করলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাকরিতে টিকে থাকতে পারতেন না। এমনকী তাঁদের প্রয়োজনমতো বদলিও পেতেন না। গোটাটাই নিয়ন্ত্রিত হত আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে। আসলে পিছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করতেন সিপিএমের তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস। যে কারণে শিক্ষায় অনিলায়ন শব্দটি বাংলায় চালু হয়েছিল। বাকিটা ইতিহাস। বামেরা আজ শূন্য। বাংলার মানুষই তাদের শিক্ষা দিয়েছে। আর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে একের পর এক দুর্নীতি হয়েই চলেছে। নিজেরা দুর্নীতিবাজ হয়ে কোন মুখে বিজেপি বাংলায় বড় বড় কথা বলে?
আরও পড়ুন-দীপাঞ্চলের মানুষকে সরানো হবে
বঙ্গ বিজেপির ট্রেনি ও অযোগ্য নেতারা যত না আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন তার থেকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদই বেশি। কিন্তু তাঁদের ঘোলা জলে মাছ ধরার পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। আর বামেদের শরিক শূন্য পাওয়া কংগ্রেসে কথা যত কম বলে ততই ভাল। সিপিএমের হাত ধরে তারাও নিজেদের শূন্যে নামিয়ে নিজেদের অপদার্থতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। আর এখন বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস মিলে চাকরিপ্রার্থীদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা বুঝে নেওয়ার জন্য বিপথে চালিত করছে।