প্রতিবেদন : আর রাখঢাক নয়। রাজভবনকে পার্টি অফিস বানিয়ে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টা আগে রাজ্যপাল পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায়। বলা ভাল, বিজেপি নেতার ভূমিকায়। শান্তির বাণী প্রচার করতে গিয়ে রাজ্যপাল আসলে বিজেপির লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়লেন। যা দেখে কটাক্ষের পোস্ট তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রাম বিজেপিতে বিরাট ভাঙন
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যপালের সঙ্গে আসারাম বাপুর ছবি পোস্ট করে তিনি লিখলেন, আনন্দরামজি বাপু। বললেন, যে কাজ তিনি করেছেন বৃহস্পতিবার, তাঁর উচিত ব্যাগ গুছিয়ে রাখা। ১১ জুলাইয়ের আগেই ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। ভোটের ফলের পর আওয়াজ উঠবে, বাংলা থেকে দূর হটুন। তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, রাজ্যপাল বিজেপির দালাল, এজেন্ট। প্রচারের শেষদিনে বিরোধীদের হয়ে প্রচার করে প্রমাণ করে দিলেন, উনি রাজনীতিই করছেন। সাংবাদিক সম্মেলন করা রাজ্যপালের কাজ নয়। কমিশনারের কাজ নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য থাকলে চিঠি দেবেন। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেবেন। তা না করে ভোটের মুখে সাংবিধানিক পদে বসে রাজনীতির কথা বলে মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। অবিলম্বে ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর কদর্য আক্রমণ অমর্ত্যকে
তৃণমূল মুখপাত্র কটাক্ষ করে বলেন, মাথায় নেতাজির মতো টুপি পরলেই নেতাজি হওয়া যায় না। জোকারের মতো আচরণ করছেন। গণতন্ত্রকে হাস্যাস্পদ করে ছাড়ছেন। জেলে থাকা আসারামজি বাপু যেমন প্রবচন দিতেন, আনন্দরামজি বাপু সেই কাজটাই করছেন প্রতিদিন। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজভবনে বসে, রাজ্য সরকারের টাকায় নিজের বইয়ের চতুর্থ এডিশন বের করছেন— অশোকস্তম্ভের ছবি, রাজভবনের প্রকাশনা নাম দিয়ে। এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি উঠেছে। সেই তদন্ত না করে, তদন্ত ধামাচাপা দিয়ে রাজধর্মের কথা বলছেন! বাংলার মানুষ এ-সব সহ্য করবে না।