শ্রদ্ধাদিবসের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল

পুলিশের সঙ্গে বৈঠক, ১২টায় খুঁটিপুজো

Must read

প্রতিবেদন : আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই ঐতিহাসিক একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশে শামিল হবেন লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যা পালিত হবে ‘শ্রদ্ধাদিবস’ (Shraddha Diwas- TMC) বলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের চারটি জোনের ডিসি, জয়েন্ট সিপি-সহ একাধিক পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সি-সহ একাধিক যুবনেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। প্রতিবারের মতো এবারও আলোচনা হল একুশে জুলাই তো বটেই— তার আগের দিনের ট্রাফিক ব্যবস্থা কীভাবে সাজানো হবে তা নিয়ে। আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় একুশের মঞ্চ তৈরির আগে সেখানে প্রথা মেনে খুঁটিপুজো হবে। উপস্থিত থাকবেন দলের রাজ্যস্তরের একাধিক নেতা-নেত্রী। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রেও এই প্রস্তুতি বৈঠক করেন বিধায়ক তাপস রায়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও যুবনেতা। এবারের একুশে জুলাইয়ের রাজনৈতিক তাৎপর্য ভিন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ। একে তো পঞ্চায়েতের নির্বাচনের পরে এই সমাবেশ— তার ওপর এই বিপুল জয়ের পর স্বাভাবিকভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা থাকবে তুঙ্গে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। একুশের মঞ্চ থেকে জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোটকে আরও সঙ্ঘবদ্ধ ও দিল্লির মসনদ থেকে মোদি-হটানোর ডাক দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও সল্টলেকের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখে নিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। যেখানে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের কর্মী-সমর্থকেরা একুশের সমাবেশের (Shraddha Diwas- TMC) জন্য জড়ো হবেন। বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার স্টেডিয়াম, দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গা, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, বড়বাজারের একাধিক ধর্মশালায় কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পর একুশের সমাবেশের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কলকাতা-সহ গোটা বাংলা ছেয়ে গেছে নেত্রীর ছবি দেওয়া একুশের ব্যানারে। যেখানে লেখা একুশে জুলাই বেলা ১২টা ধর্মতলা চলো।

আরও পড়ুন- ১৯ ও ২০ জুলাই মণিপুরে যাবে টিম

Latest article