প্রতিবেদন : মানুষের সেবাই আমাদের ব্রত। মানুষকে ভালবেসে, মানুষের মন জিতে আমরা রাজত্ব করতে চাই। জোর করে, ভয় দেখিয়ে রাজত্ব করার পক্ষপাতী নই আমরা। মানুষের মন জয় করতে এলাকায় এলাকায় সইফুদ্দিনের মতো নেতারা কাজ করছেন। সইফুদ্দিনও মানুষের সেবায় ব্রতী হয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন-গদ্দারের টিকিট কেলেঙ্কারি
সিপিএম বুঝেছিল সইফুদ্দিনের মতো নেতারা থাকতে তারা কোনওদিনও পায়ের তলায় মাটি পাবে না। তাই পরিকল্পনা করে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকে খুন করে দিল সিপিএম। রবিবার জয়নগরে এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দলীয় সমাবেশ থেকে সিপিএমের বিরুদ্ধে এভাবেই গর্জে উঠলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নয়াদিল্লিতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী, তাজপুর প্রসঙ্গে স্পষ্ট করলেন অবস্থান
এদিন সকালে নিহত তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের বাড়িতে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সইফুদ্দিনের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তারপর বামনগাছি অঞ্চলের মরিশ্বর মতিলাল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সইফুদ্দিন লস্করের স্মরণসভা থেকে তিনি সিপিএমকে একহাত নেন। এই স্মরণসভায় মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়ে চলা মানবসেবায় ব্রতী সইফুদ্দিন লস্করের মতো তরতাজা যুবক আজ নেই। সিপিএম তার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমি সিপিএমকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, আমরা তৃণমূলের কর্মীরা বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছি, আমাদের একটা একটা করে খুন করো। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈন্যকে তোমরা কোনওদিন শেষ করতে পারবে না। এই হিংসা দিয়ে কোনওদিন তোমরা পায়ের তলায় জমি ফিরে পাবে না। ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, রাজনৈতিক জীবনে মৃত্যু যেকোনও সময় আসতে পারে। আমি ২১ জুলাই দেখেছি। ২১ জুলাই কানের পাশ দিয়ে মৃত্যু চলে গিয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু ছোঁয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু সিপিএম আবার তা আমদানি করতে চাইছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সিপিএমকে বিষোদ্গার করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, তোমরা তো আর পারবে না, তোমার বাবা বিজেপি যাতে আসতে পারে সেই চক্করে রয়েছ। সামনে লোকসভা ভোট, তার আগে হাতে হাত মিলিয়ে খুন-খারাপি করে দাঙ্গার চক্রান্ত করে চলেছ তোমরা। মানুষ তৃণমূলের উন্নয়নের সঙ্গে আছেন, থাকবেনও। লড়াই করছেন বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সৈনিকদের খুন করে বিজেপির হাত শক্ত করছে সিপিএম। কিন্তু বামনগাছি তা মানবে না।