মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নয়াদিল্লিতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী, তাজপুর প্রসঙ্গে স্পষ্ট করলেন অবস্থান

তার মধ্যে তিনটি মন্ত্রক ইতিমধ্যেই তাদের ছাড়পত্র দিয়েছে। অপর একটি মন্ত্রকের দেওয়া শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন নিয়ে আলোচনা চলছে।

Must read

প্রতিবেদন : আদানির তাজপুর প্রকল্প পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় রয়েছে। বরং বাধা আসছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকেই। রাজ্যে আদানি গোষ্ঠীর প্রকল্প নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। রবিবার দিল্লিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার শেষদিনে পশ্চিমবঙ্গ দিবসে যোগ দিতে এসে প্রগতি ময়দানে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের চারটি মন্ত্রকের ছাড়পত্র দরকার আদানিদের প্রকল্প রূপায়ণের জন্য। তার মধ্যে তিনটি মন্ত্রক ইতিমধ্যেই তাদের ছাড়পত্র দিয়েছে। অপর একটি মন্ত্রকের দেওয়া শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন নিয়ে আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন-ভারত সেবাশ্রম সংঘের অতিথি নিবাসের ঘরের মেঝেতে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার

তিনি এদিন বলেন, বিদেশমন্ত্রক, জাহাজ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকল্প নিয়ে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা চলছে। তিনি স্পষ্ট বলেন, আদানির প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা বিস্তারিত এবং প্রকৃত সত্য না জেনেই অপপ্রচার চালাচ্ছে। আদানিদের প্রকল্প নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে রাজ্য সরকার,আদানি গোষ্ঠী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মধ্যে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা এদিন জানিয়েছেন, তাজপুর প্রকল্পটিকে নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা। তাঁর স্পষ্ট কথা, গুজবে কান দেবেন না।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এই প্রথমবার পুরস্কৃত হতে চলেছে বাংলার প্যাভিলিয়ন। শশী পাঁজা জানিয়েছেন, এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বাংলার মোট ১৬টি স্টল ছিল। তার মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্প, আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্প্রতি চালু করা বাংলার শাড়ির স্টলও রয়েছে। বাংলার স্টল এবারে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে জানান শশী পাঁজা। সোমবার প্রগতি ময়দানেই রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় তিনটি দফতর প্রথমবার অংশগ্রহণ করেছে। বাংলার শাড়ি, পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দফতর। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রাখা সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজের জন্য পুরস্কার পেয়েছে বাংলা।

Latest article