প্রয়াত হলেন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়েই সেখানে ছুটে যান পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সকাল থেকেই সেখানে রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছেন। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সমস্তরকম সহযোগিতা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা রিপোর্ট দেখেই প্রবীণ সিপিএম নেতার মরদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের কাছে। গৌতমবাবুর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
আরও পড়ুন-“লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা করার পরিকল্পনা রাজ্যের
সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন গৌতম দাস। বার্ধক্যজনিত সমস্যাও ছিল তাঁর। ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁকে গত ৬ সেপ্টেম্বর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গতকাল রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। আজ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় গৌতমবাবুর। ত্রিপুরার রাজনীতিতে প্রখর ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, এবং রাজনৈতিক ভাবে আপসহীন নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন গৌতমবাবু।
আরও পড়ুন-বিজেপি একটি নারীবিদ্বেষী দল
ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি সেরাজ্যে সিপিএমের মুখপত্র ডেইলি দেশের কথার সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতিতে একটি যুগের অবসান ঘটলো।