আগরতলা : ত্রিপুরার মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে বহু দুর্দশা ও বৈষম্যের শিকার৷ এই অভিযোগে মঙ্গলবার ভিডিও প্রকাশ করল ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির তথাকথিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের চাপে দুর্বিষহ ত্রিপুরার জনজীবন৷ আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। চার আসনেই প্রার্থী দিয়ে বিকল্প নীতি তুলে ধরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল৷ ভোটের আগে এদিন আগরতলা প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ত্রিপুরা ফাইলস’ (Tripura Files) নামে একটি ভিডিও’র প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছে তৃণমূল। চার প্রার্থীকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক-সহ নেতৃত্ব। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অনুন্নত ত্রিপুরার বিভিন্ন ঘটনাবলি নিয়ে তৈরি ‘ত্রিপুরা ফাইলস’-এর (Tripura Files) প্রথম পর্ব প্রকাশিত হল। উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রের মানুষের সমস্যা ও দুর্দশার প্রসঙ্গও উঠেছে এখানে৷ সেইসঙ্গে প্রদেশ নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় প্রশাসনের মদতেই প্রতিবার ভোট লুঠ হয়। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার জলাঞ্জলি দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দেওয়া হয় না। ভোটের নামে প্রহসন চলে। অথচ মানুষ যদি অবাধে ভোট দিতে পারে তবে ত্রিপুরায় নিশ্চিতভাবেই জয়ী হবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। দলের অভিযোগ, শাসকদল বিজেপি সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করেই ভোটে জেতে। নির্বাচন কমিশনের অপদার্থতায় এখানে প্রতি মুহূর্তেই গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হচ্ছে। গত পুরভোটে শুধু সাধারণ মানুষকেই বাধা দেওয়া হয়নি, বিরোধী প্রার্থীরাও বাধা পেয়েছিলেন। এই অবস্থায় আসন্ন উপনির্বাচন যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ হতে পারে এবং মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
আরও পড়ুন: আট বছরে অষ্টরম্ভা