বিপ্লব দেবের পুলিশের যুক্তি হাস্যকর: কাজের চাপে ধরা যায়নি অপরাধী

Must read

এক হাস্যকর যুক্তি দিল বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশের। পুজোয় কাজের চাপের জন্যই না কি ধরা পড়েনি অপরাধী! ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যের উপর আক্রমণের ঘটনা তদন্ত এগিয়ে না নেওয়ার জন্য হাস্যকর যুক্তি পুলিশের। ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শান্তনু সাহা দুর্গাপুজোর মধ্যেই দশমীর রাতে আক্রান্ত হন। সেই ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে ইস্ট আগরতলা থানায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

আরও পড়ুন-পুজো উদ্বোধনে জাগো বাংলা প্রচ্ছদের ছবি এঁকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংরক্ষণের দিকে এগোচ্ছে ২১ পল্লী

সুবল ভৌমিক জানান, এসডিপিও-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। পুলিশ তাঁদের জানিয়েছে, পুজোর মধ্যে কাজের চাপ থাকায় এই বিষয়ে তদন্ত এগোনো যায়নি। ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ পেয়েছে পুলিশ। তা দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তৃণমূল নেতা।

পুলিশের এই হাস্যকর যুক্তি তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা বলেন, উৎসবের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। সেক্ষেত্রে কোনও অপরাধমূলক কাজ হলে দোষীরা শাস্তি পাবে না পুলিশের কাজের চাপের জন্য? এই হাস্যকর যুক্তি কোনোভাবেই মানা যায় না।

এরপরেই বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুবল ভৌমিক। তিনি বলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন, “যে তিনি পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেন। পুলিশ তাঁর কথায় কাজ করে। রাজ্যের বিচারব্যবস্থা তাঁর কথায় চলে। সেখানে দুষ্কৃতীরাজ চলবে সেটাই স্বাভাবিক”।

এদিন ক্যাম্প অফিস থেকে ইস্ট আগরতলা থানা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। পা মেলান হাজারেরও বেশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। সুবল ভূমিক ছাড়াও এদিন প্রতিবাদে সামিল হোন তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাস, তাপস রায়, ডা: দেবব্রত দেবরায়-সহ অনেকে। থানার সামনে বসে তাঁরা শান্তনু সাহার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে স্লোগান দেন।

সুবল ভৌমিক বলেন, উৎসবের মরসুমে তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চান। সেই কারণেই পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি দোষীরা গ্রেফতার না হয়, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তৃণমূল।

এখনও হাসপাতলে চিকিৎসাধীন শান্তনু সাহা। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর বলে জানিয়েছেন সুবল ভৌমিক।

Latest article